Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

নাম বিভ্রাটে গ্রেফতার অভিযুক্তের প্রতিবেশী

স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন চাঁচলের এক বধূ। কিন্তু তাঁর স্বামী মালাহার গ্রামের বাসিন্দা সাহিদুল ইসলাম ফেরার। শুক্রবার ভোর রাতে তাঁকে ধরতে এসে, তাঁরই এক প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করে ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীরা তাতে বিক্ষোভ দেখানোর পরে পুলিশ ভুল বুঝতে পারে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁচল শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৫ ০৩:০৮
Share: Save:

স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন চাঁচলের এক বধূ। কিন্তু তাঁর স্বামী মালাহার গ্রামের বাসিন্দা সাহিদুল ইসলাম ফেরার। শুক্রবার ভোর রাতে তাঁকে ধরতে এসে, তাঁরই এক প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করে ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীরা তাতে বিক্ষোভ দেখানোর পরে পুলিশ ভুল বুঝতে পারে। এরপরে প্রকৃত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁর প্রতিবেশী সাহিদুলকে। দু’জনেরই সামান্য জমিজমা রয়েছে। পেশায় দু’জনেই কৃষিজীবী। চাঁচলের এসডিপিও কৌস্তভদীপ্ত আচার্য বলেন, “অভিযুক্তের সঙ্গে নামের মিল থাকায় অন্য এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁকে মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়।”

বিয়ে করার পরেও স্বামী তাঁকে পরিবারে ঠাঁই দেননি বলে অভিযোগ ওই বধূর। সে কারণেই স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই বধূ। পুলিশের বক্তব্য, তখন বেশ কয়েকবার খোঁজ করেও ধরা যায়নি অভিযুক্ত সাহিদুল ইসলামকে। সপ্তাহ খানেক আগে সাহিদুল ইসলামের নামে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানাও বের হয়। এরপরেই দোলের রাতে পুরনো মামলায় অভিযুক্তদের ধরতে মালাহার এলাকায় তল্লাশির সময় সাহিদুলেরও খোঁজ শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্ত সাহিদুল ইসলামের বাবার নাম মৈনুদ্দিন আহমেদ। তাঁর খোঁজে এসে যে সাহিদুলকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়, তার বাবার নাম তসলিমুদ্দিন আহমেদ। এটা জানা সত্ত্বেও কী করে পুলিশ এই ভুল করল, তা নিয়ে বিস্মিত এলাকার মানুষ।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, সাহিদুল ইসলামকে ধরে পুলিশ মারতে মারতে স্থানীয় মালাহার পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যায়। ধৃতের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই তা তাঁর পরিবারের লোকজন বারবার বলেছিলেন। তবু পুলিশ তাতে কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের।

পুলিশের মারে সাহিদুল অসুস্থও হয়ে পড়েন। এরপরেই বাসিন্দারা পুলিশ ক্যাম্পে চড়াও হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারপরেই ভুল বুঝতে পেরে নিরীহ সাহিদুলকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সাহিদুল বলেন, “কেন আমাকে গ্রেফতার করা হল, পুলিশের কাছে তা জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কোনও কথা না বলে পুলিশ উল্টে আমাকে মারধর করতে করতে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। টর্চ দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারেন এক পুলিশকর্মী।”

পুলিশের অবশ্য দাবি, প্রকৃত অভিযুক্ত সাহিদুলের বাড়ি কোনটা তা জানতে চাইলে ধৃত সাহিদুল পুলিশকে বারবার বিভ্রান্ত করে। তাতেই সন্দেহ হওয়ায় তাকে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ভুল বুঝতে পেরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

chanchal name
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE