তাঁর পড়াশোনা রাশিবিজ্ঞান নিয়ে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। স্নাতকোত্তর করেছেন অপারেশনাল রিসার্চ নিয়ে। আইএএসের চাকরি পাওয়ার পরে মণিপুর ক্যাডারে যোগ দেন। উত্তর-পূর্বের সে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে কাজ করেছেন। মণিপুরের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকও ছিলেন। তার পর দিল্লিতে বদলি। ইন্ডিয়ান ট্রেড প্রোমোশন অর্গানাইজ়েশন বা আইটিপিও-র প্রধান হিসাবে দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন। দায়িত্ব ছিল বিদেশের বাজারে ভারতীয় পণ্য বিক্রি বাড়ানোর রাস্তা খোঁজা। সে সময়ই ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ফরেন ট্রেড থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ে লেখাপড়া। এখন সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই রাজেশ আগরওয়াল আমেরিকা থেকে আসিয়ান গোষ্ঠীর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দর কষাকষি করছেন। এত দিন তিনি কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের বিশেষ সচিব হিসাবে আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তিতে ‘চিফ নেগোশিয়েটর’, অর্থাৎ ভারতীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান ছিলেন। এখন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যসচিব হিসাবে সেই কাজের পরিণতিতে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। রাজেশ অবশ্য তাঁর সহকর্মীদের কাছে পরিচিত ঠোঁটের কোণে ঝুলে থাকা হাসি ও রসিক স্বভাবের জন্য।
দায়িত্ববান: একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল।
একতার দৌড়ে
দৌড়তে হবে সবাইকে— তা তিনি বিশালবপু হোন, বা কৃশকায়! ধূমপানের সুবাদে তাঁর ফুসফুসে কলঙ্কদাগ থাক, বা না-ই থাক। এসেছে সরকার বাহাদুরের নির্দেশ। দিল্লির বাবুদের নিস্তার নেই তা থেকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সম্প্রতি একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে সমস্ত দফতরে সব সচিবের উদ্দেশে। সেখানে বলা হয়েছে, ৩১ অক্টোবর পুরো দলবল নিয়ে ভোর সওয়া ছ’টার মধ্যে পৌঁছে যেতে হবে মেজর ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়ামে। সকাল সাতটা কুড়ি থেকে সাতটা পঞ্চান্ন— এই পঁয়ত্রিশ মিনিট হবে, ‘রান ফর ইউনিটি’। অন্য মন্ত্রক এবং অফিসারদেরও দৌড়ে যোগ দিতে উৎসাহিত করার জন্য বলা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় একতা দিবসের এই উদ্যাপনে মুখ্য অতিথি অমিত শাহ। তিনি দৌড়ের উদ্বোধন করবেন। কিন্তু নিজে দৌড়বেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
“ছেলেকে ডাকুন!”
সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সদ্য ঘোষিত জিএসটি সংস্কারের উপরে একটি পুস্তিকা উদ্বোধন করার কথা ছিল তাঁর। প্রধানমন্ত্রীর হাতে ওই বইয়ের একটি সংস্করণ তুলে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। মূলত যুবসমাজ যাতে জিএসটি সংস্কারের বিষয়ে সহজে বুঝতে পারে, সেই উদ্দেশ্যেই ওই উদ্যোগ রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী তথা চন্দ্রবাবুর পুত্র নারা লোকেশের। গোটা উদ্যোগটির পিছনে যে তাঁর ছেলে, চন্দ্রবাবু প্রধানমন্ত্রীকে সে কথা জানাতেই তাঁকে ডাকতে অনুরোধ করেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে বই উদ্বোধনে এগিয়ে আসেন নারা লোকেশ। হাসিমুখে ছেলেকে মঞ্চে জায়গা ছেড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু।
টিউলিপের মেলা
শীত আসছে। সেই উপলক্ষে রাজধানী দিল্লিকে টিউলিপ ফুলে সাজানোর প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। গত তিন বছর ধরেই শীতে নয়াদিল্লির রাস্তার পাশে লাল-হলুদ টিউলিপের মেলা বসে। এ বার সাড়ে পাঁচ লক্ষ টিউলিপের বরাত হয়েছে। শান্তি পথ থেকে মান্ডি হাউস, লোদী গার্ডেন থেকে তালকাটোরা উদ্যান, এগারো মূর্তি থেকে সংসদ চত্বর টিউলিপ ফুল দিয়ে সাজাবে নয়াদিল্লি পুরসভা ও দিল্লি ডেভলপমেন্ট অথরিটি। তার জন্য প্রায় পাঁচ লক্ষ সতেরো হাজার টিউলিপ-কুঁড়ি আমদানি করা হচ্ছে নেদারল্যান্ডস থেকে। তা ছাড়া, আরও পঞ্চাশ হাজার স্বদেশি টিউলিপ থাকবে। এর মধ্যে হাজার ত্রিশেক টিউলিপ লোদী গার্ডেনে ফোটানো হয়েছে। বাকি নিয়ে আসা হচ্ছে পালমপুরের ইনস্টিটিউট অব হিমালয়ান বায়োরিসোর্স টেকনোলজি থেকে।
শোভা: দিল্লিতে লাল-হলুদ টিউলিপ।
অতন্দ্র প্রহরী
কুম্ভমেলার সময় পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে নয়াদিল্লি স্টেশনে। দীপাবলিতে পুনরাবৃত্তি রুখতে নয়াদিল্লি স্টেশনে হোল্ডিং এলাকার ব্যবস্থা করেছিল ভারতীয় রেল। মূলত বিহার তথা পূর্ব ভারতগামী ট্রেনে ভিড় যাতে উপচে না পড়ে, রেল ভবনের ওয়ার রুম থেকে নজর রাখছিলেন রেলকর্মীরা। দেশ যখন দীপাবলির আনন্দে মত্ত, তখন পরিবার ছেড়ে রেল ভবনে দায়িত্ব সামলানো কর্মীদের মনোবল বাড়াতে উপস্থিত হন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। প্রত্যেককে মিষ্টি খাইয়ে ওয়ার রুমেই একত্রে দীপাবলি পালন করেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)