রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনের মাটিতে যে সেনারা যুদ্ধবন্দি হিসেবে দিন কাটাচ্ছেন, তাঁদের সবাই কি রুশ? একেবারেই না। দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের নানা দেশের মানুষ সেখানে: তাজিকিস্তান, নেপালের যেমন, তেমনই কেনিয়ারও! ৩৭টি দেশের অন্তত দু’শো জন ‘বিদেশি’ যুদ্ধবন্দির খবর জানা গেছে ‘ইউক্রেনিয়ান কো-অর্ডিনেশন হেডকোয়ার্টার্স ফর দ্য ট্রিটমেন্ট অব প্রিজ়নারস অব ওয়র’-এর হিসাবে। নানা ভাষা নানা মতের মানুষ এঁরা, কিন্তু পরিধান একই, রুশ সেনার পোশাক— এ হল কী করে? স্বদেশের মানুষ যুদ্ধ করতে যেতে চাইছেন না, রাশিয়া তাই ছলে বলে ও কৌশলে বিদেশিদের সেনা বানিয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধে পাঠিয়েছে, এমনটাই অভিযোগ— ভাঁওতা, ঘুষ থেকে ব্ল্যাকমেল, বাদ রাখেনি কিছুই। অবশ্য স্বেচ্ছায় যুদ্ধ করতে আসা সেনাও আছে, রাশিয়ার বন্ধু দেশ উত্তর কোরিয়া থেকে যেমন। ‘যুদ্ধ করে করবি কী তা বল’ বলার লোকের অভাব নেই যেমন, তেমনই উল্টোটাও সত্যি— দেখা যাচ্ছে।
বিজিত: ইউক্রেনের এক বন্দিশিবিরে যুদ্ধবন্দিদের সারি। গেটি ইমেজেস
ঘরে ফেরা
সম্প্রতি উত্তর নাইজিরিয়ায় অপহৃত পঞ্চাশ জন শিক্ষার্থী অপহরণকারীদের হাত থেকে পালিয়ে নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে এসেছে। কিছু দিন আগে সে দেশের উত্তর-মধ্য নিজার রাজ্যের এক বেসরকারি ক্যাথলিক স্কুল থেকে ৩০৩ জন শিশু ও ১২ জন শিক্ষককে অপহরণ করে সশস্ত্র ডাকাতরা। নাইজিরিয়ায় এ-হেন অপহরণ নিয়মিত ঘটনা, সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী সাধারণ মানুষ, বিশেষত স্কুলপড়ুয়াদের গণ-অপহরণ করে মুক্তিপণের লোভে। এ ছাড়াও ধর্মীয় উস্কানির জেরে আক্রমণ এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা থেকে উদ্ভূত সহিংস সংঘাতেও ক্রমাগত ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে দেশটি।
বিয়ের স্বীকৃতি
পোল্যান্ডের দুই সমকামী পুরুষ জার্মানিতে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন, কিন্তু স্বদেশে ফিরে বিয়ের স্বীকৃতি মেলেনি। ব্যাপার গড়িয়েছে আদালতে, এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ আদালত সম্প্রতি জানিয়েছে, ইউনিয়নভুক্ত সমস্ত দেশে সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকার ও শ্রদ্ধা করতে হবে। পোল্যান্ড সরকারকে ভর্ৎসনাও করেছে এই বলে যে, যতই দেশের আইনে সমলিঙ্গ বিবাহের স্বীকৃতি না থাক, এ হল দু’টি মানুষের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন যাপনের স্বাধীনতা— নিজেদের পছন্দমতো জায়গায় বসবাস ও চলাফেরার স্বাধীনতার প্রশ্ন। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলির মানুষের এই স্বাধীনতা রয়েছে, এবং তা নিঃশর্ত ভাবে রক্ষা করতেই হবে— আদালতের মন্তব্য।
মমির অভিশাপ?
বিশ্বের আগ্রহের কেন্দ্রে কায়রোয় সদ্য উন্মুক্ত ‘গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজ়িয়ম’, এখানেই আছে খুফুর সৌরনৌকা থেকে তুতানখামেনের মমি। সেখানেই টিকিট-ব্যবস্থায় খোদ মিশরীয়রা নিজেদের দেশে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করলেন পার্লামেন্ট সদস্য ফ্রেডি আলবায়াদি। দৈনিক প্রায় ২৭,০০০ টিকিট বিক্রি হচ্ছে, অথচ বাঁধা কিছু সংখ্যার উপরে টিকিট পাচ্ছেন না দেশবাসীরাই। তাঁদের চেয়ে বিদেশিদের টিকিটের দাম সাত গুণ বেশি ধার্য হয়েছে বটে, তবে সিংহভাগ টিকিটও নাকি বিদেশিদের জন্য তুলে রাখা। ‘কোটা’ সংশোধনের দাবি তুলে ফ্রেডি বলেছেন, দেশি-বিদেশি কারও জন্যই ৬০:৪০ অনুপাতের সীমা অতিক্রম উচিত নয়, নিজেদের ঐতিহ্যের স্পর্শ পেতে কেন দ্বিতীয় সারিতে অপেক্ষা করবেন দেশবাসী? এ কি শুধুই বিদেশি মুদ্রার টান, না কি ঔপনিবেশিক মোহান্ধতা? না কি কর্তৃপক্ষের বুদ্ধি-বিবেচনায় ‘মমির অভিশাপ’ পড়েছে?
কে তুমি পড়িছ...
১৯১৬-য় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন, জাহাজে ফ্রান্স যাওয়ার পথে চিঠি লিখে বোতলে পুরে তা সমুদ্রে ভাসিয়ে দেন দুই অস্ট্রেলীয় সৈন্য। শতবর্ষেরও বেশি পরে, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার হোয়ার্টন সৈকত পরিষ্কার করতে গিয়ে সেই বোতলবন্দি চিঠি পেল ব্রাউন পরিবার। বছর সাতাশের নেভিল পরের বছরই যুদ্ধে মারা যান: তিনি চিঠি লিখেছেন মা-কে, কিন্তু তাঁর লেখা ঠিকানায় আজ এক পরিত্যক্ত শহর দাঁড়িয়ে। সাঁইত্রিশের উইলিয়াম ক্যানসারে অকালপ্রয়াত, রোগের উৎস গ্যাস চেম্বারের অত্যাচার। চিঠি পেয়ে আবেগে ভাসছেন নাতি-নাতনিরা। সমুদ্র সবই ফেরায়, শুধু ফেরে না হারানো সময়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)