স্বপ্ন। মূল কথা হল এই স্বপ্ন। ‘অচ্ছে দিনে’র স্বপ্ন। স্বপ্ন নাকি স্বপ্নের ফেরি— কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ সে বিতর্ক উর্ধ্বে থাক। আপাতত ধরে নেওয়া যাক স্বপ্নই আমাদের মূল সম্পদ। অতএব হ্যামলিন তাঁর বাঁশিতে সুর তোলেন, নরেন্দ্র মোদীও ‘অচ্ছে দিনে’র স্বপ্ন দেখান।
অতএব আরও এক বার আমরা আপামর ভারতবাসী স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম আগামী পাঁচ বছরে ১০ লক্ষ লোকের চাকরি হবে। স্বপ্ন দেখেছিলাম আমরা ২০১৪ সালেও, যখন নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি বলেছিল ক্ষমতায় এলে পাঁচ বছরে ১ কোটি কর্মসংস্থানের অবকাশ তৈরি করবে তারা। তিন বছর পেরিয়ে গিয়েছে সেই ১ কোটির ১০ লাখও চাকরি পেয়েছে কিনা সংশয়ের অবকাশ রয়েছে। যেহেতু সংশয়, অতএব নতুন করে স্বপ্ন এবং স্বপ্ন বিক্রির অবসরও তৈরি হয় তখন। নোটবন্দি এবং জিএসটি-র জালে সঙ্কুচিত হতে থাকা বিজেপি-র অতএব নতুন একটা স্বর্গের সিঁড়ির দরকার হয়েছিল। সেই স্বর্গের সিঁড়ি এল পীযূষ গয়ালের হাত ধরে। রেল নাকি ১০ লক্ষ লোকের চাকরি করে দেবে।
নরেন্দ্র মোদী ও পীযূষ গয়ালরা নিঃসন্দেহে জানেন এই ভারত তাঁদের প্রতি আস্থা রাখতে চায়। ভরসা রাখতে চায় শাসকের ন্যায়দণ্ডের প্রতিও। সেই দণ্ডে শুধুই ‘জাদু কি ঝাপ্পি’টা হলেই চলবে না, কিছু বস্তুগত প্রতিফলনও থাকতে হবে।
স্বপ্ন দেখানো ভাল, কিন্তু সেই স্বপ্নকে নৈমিত্তিক রোজনামচার মাটিতে নামিয়ে আনার দায়িত্বও শাসকের। না হলে পূর্ণিমার চাঁদও যে ঝলসানো রুটিতে পর্যবসিত হতে পারে, সে তো আমরা কাব্যিক উত্তরাধিকারেই জানি।
সাধু কি সাবধান হবেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy