Advertisement
১৭ জুন ২০২৪
Lok Sabha Election 2024

সম্পাদক সমীপেষু: নিজ ভূমে উদ্বাস্তু?

গত ১৩ মে চতুর্থ দফায় বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের সময় ওই ভোটকর্মীরা নিজ বুথে ভোট দিতে গেলে তাঁদের ফিরে আসতে হয়।

—ফাইল চিত্র।

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৪ ০৬:২১
Share: Save:

পোলিং অফিসার হিসেবে যে ভোটকর্মীদের নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করে, তাঁরা ইলেকশন ডিউটি সার্টিফিকেট (ইডিসি) নিয়ে বা পোস্টাল ব্যালট (পিবি)-এর মাধ্যমে ভোট দেন। যদি অন্য লোকসভা কেন্দ্রে ডিউটি পড়ে, তা হলে নিজ লোকসভা কেন্দ্রে আর পাঁচ জন সাধারণ নাগরিকের মতো যথাবিহিত নিয়মে তাঁদের ভোট দিতে হয়। ৪১ বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মঙ্গলকোট ব্লকের বহু ভোটকর্মীর ৩৭ বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত খণ্ডঘোষে ডিউটি পড়ে। গত ১৩ মে চতুর্থ দফায় বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের সময় ওই ভোটকর্মীরা নিজ বুথে ভোট দিতে গেলে তাঁদের ফিরে আসতে হয়। জানানো হয় যে, ভোটার লিস্টে তাঁদের নামে ইডিসি বা পিবি মার্ক করা রয়েছে, কিন্তু কেউই ইডিসি বা পিবি হাতে পাননি। এর পর ২৫ মে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে ষষ্ঠ দফায় ভোটের জন্য উক্ত ভোটকর্মীরা দ্বিতীয় প্রশিক্ষণে উপস্থিত হন খণ্ডঘোষের প্রশিক্ষণ স্থলে। সেখানে পরিষ্কার জানানো হয়, যে-হেতু মঙ্গলকোট-এর ভোট হয়ে গেছে, তাই আর তাঁরা ভোট দিতে পারবেন না। ফলে প্রায় আশি জন রাজ্য সরকারি-কর্মী ভোট দিতে পারলেন না। প্রশ্ন হল, এই ভোটকর্মীদের কেন তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হল?

তাঁরা কি তা হলে স্বভূমে উদ্বাস্তু?

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

গুরুচরণ কর্মকার, মঙ্গলকোট, পূর্ব বর্ধমান

রেক বৃদ্ধি

আমরা যারা জোকা ও বেহালাবাসী, তারা জোকা তারাতলা মেট্রো উদ্বোধন হওয়ায় খুব আনন্দিত ও আশাবাদী হয়েছিলাম গণপরিবহণের এই সুন্দর ব্যবস্থা নিয়ে। দুর্ভাগ্য, সারা দিনে একটাই রেক চলাচলের কারণে এখনও পর্যন্ত এই লাইনটা ‘জয় রাইড’ হয়েই থেকে গিয়েছে। সমস্যা বাড়ল যখন মাঝেরহাট পর্যন্ত পরিষেবা চালু হল। রেক চলাচলের মধ্যবর্তী সময় আরও বেড়ে গেল। অথচ, চালু হওয়ার পর আমরা ভেবেছিলাম অটোর দাদাগিরি থেকে নিষ্কৃতি পাব এবং অফিস ও কাজের সূত্রে অন্তত তারাতলা বা মাঝেরহাট পর্যন্ত নির্ঝঞ্ঝাটে যাতায়াত করব। সেটা আর হল কই। আমার মতো এই অঞ্চলের বেশির ভাগ বাসিন্দাই মেট্রোর উপর নির্ভরশীল হতে চান। কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, আর্থিক লাভ ও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে অন্তত অফিস টাইমে যাতায়াতের জন্য অবিলম্বে রেকের সংখ্যা বাড়ানো ও চলাচলের মধ্যবর্তী সময় কমানোর দিকে নজর দিন।

শোভেন গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা-১০৪

স্টেশন সংস্কার

শিয়ালদহ ডিভিশনের দক্ষিণ শাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন পার্ক সার্কাস। অথচ, এই স্টেশনের কোনও প্রবেশমুখ নেই। টিকিট কাউন্টার থেকে বেরিয়ে একটা সরু লোহার সিঁড়ি সম্বল, যা গিয়ে ঠেকেছে চার নম্বর ব্রিজে। বর্তমানে চার নম্বর ব্রিজে পুলিশ আর হাঁটাচলা করতে দিচ্ছে না। পুরোটাই ঘিরে রেখে দিয়েছে। ভাল কথা। কিন্তু ব্রিজের নীচে পায়ে চলার রাস্তা বলে কিছু আছে? সবটাই ভাঙাচোরা। বর্ষায় জল দাঁড়ায়। তার উপর প্ল্যাটফর্মে সব ফুটওভার ব্রিজ দীর্ঘকাল বন্ধ। যে ভাবে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে লাইন পেরিয়ে প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ধরতে যান, তাতে যে কোনও দিন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে স্টেশন সংস্কারে নজর দিন। আর, রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন, স্টেশনের প্রবেশ পথ ঠিক করুন।

কিশোর চট্টোপাধ্যায়, হাওড়া

নিকাশি সমস্যা

‘এক ঘণ্টার বর্ষণেই জল জমে নাস্তানাবুদ শহর’ (২৩-৫) খবরের পরিপ্রেক্ষিতে এই পত্র। বর্ষা শুরু হয়নি এখনও। অথচ, প্রত্যেক বছরই বর্ষার শুরুতে কিংবা বর্ষার সময়ে একই চিত্র আমরা দেখি কলকাতায়। প্রতি বছরই পুরসভার মেয়র পারিষদ (নিকাশি) শহরের নিকাশি সমস্যার কোনও না কোনও অজুহাত তুলে ধরেন। এই জনপ্রতিনিধিদের কাছে প্রশ্ন, প্রাক্-বর্ষায় কি এই সমস্যার কোনও সুরাহা করা যায় না? বৃষ্টির জমা জলের ছবি ও সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর যে সমস্ত কারণ তাঁরা দেখান, সে কারণগুলি যদি তাঁদের জানাই থাকে, তবে তা সমাধানে আগে থেকে কিছু করা হয় না কেন? মানুষের কী কী অসচেতনতার কারণে গালিপিট অবরুদ্ধ হয়, তার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি। সচেতনতা রক্ষার জন্য কী কী করা হয়েছে, তা-ও জানতে পারি না মেয়র পারিষদের কাছ থেকে বা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে। রাতের অন্ধকারে হোটেল কর্মীরা ম্যানহোল খুলে খাবারের বর্জ্য ফেলে— এই অভিযোগ যদি সত্য হয়ে থাকে, তবে কিছু প্রশ্ন মনে অবশ্যই উঁকি দেয়। এক, রাতের অন্ধকারে হোটেল কর্মীরা যখন এই কু-কর্ম করেন, তখন টহলদারি পুলিশ কী করে? দুই, হোটেল মালিকরা এত সাহস পান কী করে? তিন, মেয়র পারিষদ (নিকাশি)-এর কাছে যদি এই তথ্য থাকে, তবে খবর প্রকাশের পর কেন তিনি বৈঠক করবেন? চার, এই কাজের জন্য সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগের হাত থেকে রেহাই দিতে কঠোর ব্যবস্থা বা জরিমানা আগেই ধার্য হল না কেন? পাঁচ, প্রতিটি নর্দমা বা শহরের যে নিকাশি ব্যবস্থা আছে, সেই সমস্ত জায়গা কি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না?

পুরমন্ত্রী এই বিষয়ে নজর দিন। জনসাধারণের ভোটেই নির্বাচনে আপনাদের জয় হয়। মানুষের সুখ-সুবিধা দেখা তাই আপনাদের নৈতিক দায়িত্ব। আশা করব, আগামী দিনে এই দায়িত্ব আপনারা যথাযথ ভাবে পালন করবেন।

তমাল মুখোপাধ্যায়, ডানকুনি, হুগলি

ডাকের দুরবস্থা

বেশ ক’বছর ধরেই ডাক ব্যবস্থার কাজকর্ম যেন শিকেয় উঠেছে। সাধারণ ডাকে চিঠিপত্র আর প্রাপকের কাছে পৌঁছয়ই না। সরকারি ডাকে এখন ভরসা করে চিঠি পাঠাতে গেলে স্পিড পোস্ট ছাড়া উপায় নেই। এতে কম করে খরচ হয় সতেরো টাকা, সঙ্গে লম্বা লাইন। এখন হাতে লেখা চিঠির চল অনেক কমে যাওয়ায় আমাদের মতো সাধারণ ডাকে চিঠিপত্র প্রাপক বা প্রেরকরা খুবই সমস্যায় পড়েছি। বছর কুড়ি আগেও কলকাতায় পোস্টকার্ড ছাড়লে এক-দু’দিনের মধ্যে বর্ধমান বা পুরুলিয়া পৌঁছে যেত। পাড়ার ডাকঘরটির বিশ বছর আগে যা কর্মী-সংখ্যা ছিল এখনও প্রায় তা-ই আছে, কিন্তু কাজ বেড়েছে বহু গুণ। নতুন কর্মী নিয়োগ হয় না বললেই চলে। কবে পাল্টাবে পরিস্থিতি?

অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়কলকাতা-৮৪

অব্যবস্থা

কৃষ্ণনগরের একমাত্র অত্যাধুনিক মা ও শিশুদের সরকারি হাসপাতাল মাতৃমা (মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব, কৃষ্ণনগর)। কিন্তু, হাসপাতালে বেশ কয়েকটি পরিকাঠামোগত ও ব্যবস্থাপনাগত সমস্যা রয়েছে। যেমন, হাসপাতাল প্রাঙ্গণ বা ওয়র্ডগুলিতেও নেই কোনও জলের সুব্যবস্থা। হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্দেশ্যে জুতো বাইরে খুলে রাখার নির্দেশ কর্তৃপক্ষ দিয়ে রেখেছেন বটে, কিন্তু তার জন্য রোগী ও তাঁর পরিজনদের টাকার বিনিময়ে জুতো রাখতে হয় কাউন্টারে। আপৎকালীন ক্ষেত্রে রোগীর পরিজনদের রাতে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে থাকতে হলে টিনের শেড বা খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাতে হয়। টিনের শেডের নীচে কোনও ফ্যানের ব্যবস্থা না থাকায় গরমে কষ্ট হয়। রোগীর পরিজনদের জন্য ‘রাত্রিকালীন আবাস’ নামে একটি নতুন ভবন নির্মিত হলেও তা তালাবন্ধ অবস্থায় রয়েছে। এই সমস্যাগুলির বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রোগী কল্যাণ সমিতি এক প্রকার উদাসীন।

ফলে, জেলার সদর হাসপাতালে যে সামান্য পরিষেবাগুলি থাকা উচিত, তা থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীর পরিজনরা।

পাঁচকড়ি মোদক, কৃষ্ণনগর, নদিয়া

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2024 West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE