Advertisement
E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু: বিদ্যাসাগরে ছাত্রভর্তি

অধ্যক্ষ চাইলে ফোন রেকর্ড এবং টেক্সট মেসেজ রেকর্ড দেখা যেতে পারে। সাংবাদিকতার ব্যাকরণ অনুযায়ী ‘দাদা’র নাম প্রকাশ করতে বাধ্য নই। উল্লেখ্য, ওই প্রতিবেদনে আরও দুই কলেজের ভর্তি বিষয় উল্লেখিত হয়েছে। ওই দুই কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্যও ছাপা হয়েছে। বিদ্যাসাগর কলেজ কর্তৃপক্ষের জবাব পাওয়া গেলে তাঁদের বক্তব্যও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হত।

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৮ ০০:০০
বিদ্যাসাগর কলেজ

বিদ্যাসাগর কলেজ

‘‘গলিতেই হাজির ভর্তি-দাদা, সিট বিক্রির সিন্ডিকেট/২’’ শীর্ষক সংবাদটির (১-৭) প্রতিবাদে এই চিঠি। প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, বেআইনি ভাবে ছাত্রভর্তি চলেছে শঙ্কর ঘোষ লেনে, বিদ্যাসাগর কলেজে। এও লেখা হয়েছে, আমাকে প্রতিবেদক বহু বার ফোন করেছিলেন, কিন্তু আমি ফোন ধরিনি। তিনি আমাকে টেক্সট মেসেজ করেছেন, কিন্তু আমি উত্তর দিইনি।

আমি আপনাদের জানাতে চাই, বিদ্যাসাগর কলেজ এই বছরে একটি অত্যন্ত সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পুরো ভর্তির প্রক্রিয়াটিই অনলাইনে করার— উচ্চশিক্ষা দফতর, বিকাশ ভবন, কলকাতা-র ১-৬-২০১৮ তারিখের অর্ডার নং 612-Edn(CS)/10M-95/14 অনুযায়ী। তাই আমি জানতে চাইব: ১) আপনাদের সাংবাদিক কোথা থেকে জানতে পারলেন যে বিদ্যাসাগর কলেজে কাউন্সেলিং চলছে। ২) তাঁর উচিত ছিল প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথাকথিত ‘দাদা’র নামটি প্রকাশ করার সাহস দেখানো। না কি, দাদা ও তার বোনের গল্পটি পুরোটাই তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত? ৩) তিনি দাবি করেছেন আমাকে বহু বার ফোন করেছেন ও মেসেজ করেছেন। আশা করি, সেই মেসেজের প্রমাণ তাঁর কাছে আছে।

জানতে চাইব, বিদ্যাসাগর কলেজের পক্ষে অপমানজনক ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে কী প্রমাণ আপনাদের হাতে আছে।

গৌতম কুণ্ডু

অধ্যক্ষ, বিদ্যাসাগর কলেজ কলকাতা-৬

প্রতিবেদকের উত্তর: খবরটিতে বিদ্যাসাগর কলেজকে কালিমালিপ্ত করার কোনও অভিপ্রায় নেই। তা থাকলে অধ্যক্ষের মতামতের জন্য ফোন এবং টেক্সট মেসেজ করা হত না। তবে কোনওটির প্রত্যুত্তর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আসেনি। অধ্যক্ষ চাইলে ফোন রেকর্ড এবং টেক্সট মেসেজ রেকর্ড দেখা যেতে পারে। সাংবাদিকতার ব্যাকরণ অনুযায়ী ‘দাদা’র নাম প্রকাশ করতে বাধ্য নই। উল্লেখ্য, ওই প্রতিবেদনে আরও দুই কলেজের ভর্তি বিষয় উল্লেখিত হয়েছে। ওই দুই কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্যও ছাপা হয়েছে। বিদ্যাসাগর কলেজ কর্তৃপক্ষের জবাব পাওয়া গেলে তাঁদের বক্তব্যও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হত।

সব আপেক্ষিক

সামগ্রিক ভাবে তৃণমূল-কংগ্রেস জোট সম্পর্কে দেবাশিস ভট্টাচার্য যা লিখেছেন (‘সোমেন মিত্রের সেমসাইড’, ১৩-৭), তা অনেকাংশেই সত্য, কিন্তু গোল বাধছে শেষ কথাটিতে এসে, যেখানে সোমেন মিত্র এবং রাজ্য কংগ্রেসের কিছু ‘বিপ্লবী’ নেতার প্রতি তাঁর কারুণ্য বিতরিত হয়েছে। রাজনীতিতে আপ্তবাক্যগুলির মধ্যে একটি হল, আজকে যে রাজাধিরাজ, কাল সে বনবাসে যায়। দেওয়ালে দেওয়ালে যে সিপিএম এক দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি এঁকে নীচে কটাক্ষ করে লেখে, ‘‘আমার কোনও শাখা নেই’’, সেই নেত্রী আজ সারা রাজ্যে শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে অরণ্য বিস্তার করেন, এবং কার্যত একাই সিপিএমকে রাজ্যছাড়া করেন। আবার বিজেপি এ রাজ্যে দাপাদাপি শুরু করায় তৃণমূল নেত্রীর শিরঃপীড়া শুরু হয় এবং স্থবির আলিমুদ্দিনকে নবান্নে বসিয়ে জলযোগ সহকারে আপ্যায়ন করতে হয়।

রাজনীতিতে কৌশলই দস্তুর। কাজেই এই সংসদীয় রাজনীতিতে করুণা বা ক্রোধ খুবই আপেক্ষিক। হেলাফেলার কংগ্রেসও কালকের দিনে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট কতটা কাটতে পারবে সে হিসেব তৃণমূলকে করতেই হবে, কারণ ২০১৯-এ নরেন্দ্র মোদী অমিত শক্তি নিয়ে বাংলায় ঝাঁপাতে চাইছেন। আগামী দিনের বিজেপি অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। সেতু বাঁধতে খোদ রামচন্দ্র যদি কাঠবেড়ালির সাহায্য নিতে পারেন, তা হলে নির্বাচনী লড়াইয়ে কংগ্রেসকে তৃণমূলের একেবারেই প্রয়োজন হবে না, এমন কথা এখনই বলে দেওয়া সম্ভব নয়।

অন্য দিকে, এ রাজ্যে হতমান কংগ্রেসের টিকে থাকার জন্য যদি সোমেন মিত্র সিপিএমের সঙ্গে জোট বাঁধার পরামর্শ দেন, বা ভোটে জেতার জন্য তৃণমূলের পরজীবী হয়ে বেঁচে থাকার ব্যাখ্যা দেন, তবে তার জন্যও তাঁকে করুণার পাত্র ভাবার কিছু নেই। কালকের দিনে যদি জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি-বিরোধী জোট হয়, তা হলে সেখানে রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে জাতীয় কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে সে জোট হতে পারবে কি? মোটেই না।

বিরোধী জোটে তৃণমূল নেত্রী অবশ্যই নিজেকে প্রাসঙ্গিক করে তোলার ত্রুটি রাখবেন না। কিন্তু বর্তমানে রাজ্য রাজনীতিতে তাঁর যা প্রভাব, তার এক আনাও জাতীয় রাজনীতিতে নেই। পাশের প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতেই তো তৃণমূলের অস্তিত্ব কাগজে-কলমে।

অন্য দিকে, জাতীয় স্তরে যে সব আঞ্চলিক নেতা ছড়ি ঘোরাচ্ছেন, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাহাড়প্রমাণ তারিফ করেন ঠিকই, কিন্তু তিল পরিমাণ বিশ্বাস করেন কি না সন্দেহ। মমতা অবশ্যই চেষ্টা করবেন, বা করে চলেছেন, জাতীয় রাজনীতির কর্ণধার হওয়ার। কিন্তু স্বপ্নেও দেখতে পাচ্ছি না, মায়াবতী, অখিলেশ, ইয়েচুরি বা উদ্ধব এক সঙ্গে ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’’ বলে জয়ধ্বনি দিচ্ছেন।

সে দিন তৃণমূল নেত্রী দিল্লি থেকে বিফল মনোরথ হয়ে ফিরে এলেও তাঁর ওপর করুণা বর্ষিত হওয়ার কোনও পরিস্থিতি তৈরি হবে না। রাজনীতিতে এ রকমটি হয়েই থাকে।

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা-৩৪

দূরদৃষ্টি

দেবাশিসবাবুর নিবন্ধটি পড়ে, মমতার কুশলী রাজনীতির পরিচয়কে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বলে মনে হল। মমতা কংগ্রেসকে অনুকম্পা দেখানোর বদলে পুরো কংগ্রেস দলটাকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মুছে দিতে চাইছেন। ফলে কংগ্রেস বাধ্য হবে তৃণমূলের দিকে আসতে। হয়তো মমতা কংগ্রেসকে তিনটির বেশি আসন দেবেন না। আর বাংলায় কংগ্রেসের এখন যা অবস্থা, তাতে সিপিএমের সঙ্গে গেলে একটার বেশি আসন পাবে না। এই সুযোগে মমতা রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দর-কষাকষির সুযোগ পাবেন। তিনি ভালই জানেন, কংগ্রেস ছাড়া কেন্দ্রে ফেডারাল ফ্রন্ট সরকার গড়া যাবে না। তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী না হলেও, অন্তত সরকারের নিয়ন্ত্রক হয়ে রাজ্যের জন্য ভাল অনুদান আদায় করতে পারবেন। তার জন্য দরকারে মোট পাঁচটি আসন কংগ্রেসকে এখানে ছেড়ে দেবেন। তাই পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসকে বাঁচাতে হলে রাহুল গাঁধীকে এখন মমতার সঙ্গে যেতে হবে।

কমল চৌধুরী

কলকাতা-১৪০

সেই দলটি

সোমেন মিত্র সম্পর্কে বলতে গিয়ে দেবাশিসবাবু একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাদ দিয়ে ফেলেছেন— ‘প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস’। ২০০৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে, শিয়ালদহ অঞ্চলে বেশ কিছু ব্যানার চোখে পড়েছিল এই নামে। তখন সোমেনবাবু কংগ্রেস ছেড়ে এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

ঠিক লোকসভা নির্বাচনের আগে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে তাঁর নাম ঘোষণা হতেই, এই নতুন দলের অস্তিত্ব আর শোনা যায়নি। সেখানে তৃণমূল সাংসদ হয়ে, আবার ২০১৪ সালে কংগ্রেসে এসে, বাম সমর্থন নিয়ে ডায়মন্ড হারবার ছেড়ে কলকাতায় ভরাডুবি।

দেবাশীষ দত্ত

কলকাতা-৬৩

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ই-মেলে পাঠানো হলেও।

ভ্রম সংশোধন

•‘অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রাজ্যের’ শীর্ষক প্রতিবেদনের (পৃ ১, ১৮-৭) শিরোনামটি ভুল। মামলা রুজু হয়েছে অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার অভিযোগে।

•‘মাহির মার নেই, উঠছে নানা প্রশ্ন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে (খেলা, পৃ ১৬, ১৮-৭) নীচের ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছিল ‘আউট কোহালি।’ ঠিক ক্যাপশনটি হল, সেঞ্চুরি করার পথে জো রুট।

Admission College Principal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy