১৭ বছরের নির্বাসন পর্ব কাটিয়ে বাংলাদেশে ফিরলেন তারেক রহমান। তারেকের সঙ্গেই ফিরলেন তাঁর স্ত্রী জুবাইদা এবং কন্যা জাইমা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে (স্থানীয় সময় অনুসারে) ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করে তারেকের বিমান। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে তারেকের প্রত্যাবর্তনে উজ্জীবিত খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। তারা খালেদা-পুত্রকে ‘গণসংবর্ধনা’ দেবে। বিমানবন্দর থেকেই সংবর্ধনা-মঞ্চে যাবেন তারেক।
ঢাকা বিমানবন্দরে তারেক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্বাগত জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস প্রমুখ।
ঢাকার পূর্বাচলের জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে তারেককে ‘গণসংবর্ধনা’ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন বিএনপি-র নেতা-কর্মী এবং সমর্থকেরা। তারেকের ছবি সংবলিত পোস্টার, ব্যানারে ঢেকে দেওয়া হয়েছে গোটা এলাকা। বিএনপি প্রতীক সংবলিত টুপি পরে, হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে ভিড় জমিয়েছেন সমর্থকেরা।
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্রিটেনে বিএনপির এক আলোচনাসভায় তারেক জানিয়ে দেন যে, ২৫ ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশে ফিরছেন। সেই মতো বুধবার সন্ধ্যায় লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমান ধরেন তিনি। বিমান থেকেই সমাজমাধ্যমে একাধিক পোস্ট করেন তারেক। বৃহস্পতিবার ভোরের একটি পোস্টে দেখা যাচ্ছে বিমানসংস্থার একটি নথির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তিনি। উপরে বাংলায় লেখা ‘ফেরা’। আর একটি পোস্টে দেখা যাচ্ছে তারেক বিমানের জানলা দিয়ে আকাশ দেখছেন। সঙ্গে লেখা “দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে।”
সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে (বাংলাদেশের সময় অনুসারে) বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানটি সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে সাময়িক যাত্রাবিরতির পর বিমানটি ফের ঢাকার উদ্দেশে উড়ে যায়। সিলেটে বিমান অবতরণ করার পর সমাজমাধ্যমে আরও একটি পোস্ট করেন তারেক। সেখানে স্ত্রীর সঙ্গে একটি ছবি দিয়ে খালেদা-পুত্র লেখেন, “অবশেষে সিলেটে, বাংলাদেশের মাটিতে।”
বুধবারই তারেকের তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দিয়েছে খালেদার দল। অসুস্থ মাকে দেখতে যাওয়ার পাশাপাশি ওসমান হাদির সমাধিস্থলেও যাওয়ার কথা রয়েছে তারেকের। বৃহস্পতিবার সংবর্ধনা-পর্বের পর তারেক যাবেন গুলশানের বাড়িতে। শুক্রবার পিতা তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধি এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবেন তারেক। শনিবার হাদির সমাধিস্থলে যাওয়ার পাশাপাশি জুলাই আন্দোলনে আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে যাবেন তিনি। ওই দিনই তাঁর ভোটার হিসাবে আবেদন করার জন্য বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের দফতরে যাওয়ার কথা।