Advertisement
E-Paper

তীব্র তিরস্কার আপনার প্রাপ্য মেনকা

মেনকা গাঁধীকে সাবাশ দিতে হচ্ছে দুটি কারণে। এবং প্রাপ্য, তীব্র তিরস্কার।

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৯ ০০:৩০
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেনকা গাঁধী। - ফাইল ছবি

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেনকা গাঁধী। - ফাইল ছবি

মেনকা গাঁধীকে অন্তত একটা ব্যাপারে সাধুবাদ জানাতেই হয়। নিপাট সত্যটাকে সপাটে বলেছেন। মুখোশ টুখোশ খুলে রেখেই। ভোটারদের বলেছেন, শুধুই দিয়ে যাবেন তিনি, বিনিময়ে পাবেন না কিছু, এটা হতে পারে না— তিনি মহাত্মা গাঁধীর সন্তান নন। অহো! নিজের সম্পর্কে এমন অকপট ঘোষণা সর্বজনসমক্ষে ক’জন রাজনীতিকই বা করতে পারেন! পুরো দিবে আর নিবে— ডান হাত বাঁ-হাতে বহুচর্চিত সম্পর্কের সদম্ভ ঘোষণা।

মেনকা গাঁধীকে সাবাশ দিতে হচ্ছে দুটি কারণে। এক, ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে মহাত্মা গাঁধী যে অন্য এক উচ্চতার রাজনীতির পরিচয় রেখেছিলেন, এই সরল সত্যটি স্বীকার করেছেন, বক্র ভঙ্গিতে হলেও। দুই, তিনি অর্থাৎ মেনকা যে স্বার্থরহিত সেই রাজনীতির পথের পথিক নন, নিতান্তই স্বার্থনিবিড় তাঁর যাত্রা এবং সেখানে আম জনতার সঙ্গে সম্পর্ক দেওয়া-নেওয়ার— এই সত্যটিকেও আড়ালআবডাল না রেখেই স্বীকার করে নিয়েছেন। এ ভুবনে সত্য ভাষণের জন্য কোনও পুরস্কার নেই, থাকলে সেই সত্যভূষণ শিরোপা তাঁরই প্রাপ্য ছিল।

এবং প্রাপ্য, তীব্র তিরস্কার। যে প্রসঙ্গে মহাত্মা গাঁধীকে স্মরণ করেছেন মেনকা, যে ধিক্কারজনক প্রসঙ্গে, বর্তমান ভারতীয় রাজনীতির ময়দানে দাপিয়ে-বেড়ানো বহু কুলকলঙ্কতিলকও সেই প্রসঙ্গের অবতারণা করতে দু’বার ভাবতেন। আর মেনকা সেখানে সুলতানপুরে ভোট চাইতে গিয়ে আলাদা ভাবে মুসলিমদের উদ্দেশে সরাসরিই বললেন, তিনি এখানে জিতবেনই। সুতরাং মুসলিমরা যেন বুঝে নেন, তাঁকে তাঁরা যদি ভোট না দেন, তা হলে ভোটের পরেও যেন সাংসদ হিসাবে তাঁর কাছে নিজেদের জন্য কিছু চাইতে না আসেন। কারণ, তিনি মহাত্মা গাঁধীর সন্তান নন......।

সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আমরা তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি মেনকা গাঁধীর এই ন্যক্কারজনক মন্তব্যের। এই গণতন্ত্র, এই নির্বাচনী বিধি কোনও প্রার্থীর মুখে এই ধরনের মন্তব্যকে অনুমোদন করে না। বরদাস্ত করে না এই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এবং মানুষের আদালত। নির্বাচন কমিশনের তরফে শোকজ পাঠানো হয়েছে মেনকা গাঁধীর কাছে। এখানেই যেন থেমে না যায় কমিশনের কঠোর হাত। শাস্তির প্রয়োজন হয় কোনও কোনও ক্ষেত্রে।

আরও পড়ুন: ‘আমাকে ভোট না দিলে, মুসলিমদের চাকরিও দেব না’, সুলতানপুরে গিয়ে বললেন মেনকা

কোথাও এক বার দাঁড়ি টানার দরকার। এখান থেকেই শুরু হোক? মহাত্মা গাঁধীর দেশ কি বুঝিয়ে দেবে না অন্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র জেদের উত্তরাধিকারের ইতিহাস?

Maneka Gandhi Lok Sabha Election 2019 Newsletter Anjan Bandyopadhyay লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy