Advertisement
E-Paper

অব্যবস্থার এই বাড়াবাড়ি বেশ দৃষ্টিকটূ

কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীও ক্ষোভ গোপন রাখতে পারলেন না। অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে দিল্লির স্থানীয় সংগঠক কমিটি জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে যে ব্যবস্থাপনা করেছে, তা দেখে টুইটারেও ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর।

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৭ ০০:৫৬
জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম।

জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম।

নজরটা মুখমণ্ডলেই পড়ে সর্বাগ্রে। মুখটা তাই আরেকটু চকচকে, সাফসুতরো রাখা জরুরি ছিল। প্রথমত, দিল্লি ভারতের রাজধানী শহর। দ্বিতীয়ত, অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল বিশ্বকাপে ভারতের সবকটা ম্যাচ আয়োজনের সৌভাগ্য হচ্ছে দিল্লির। দুই অর্থেই মুখমণ্ডল। জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে অব্যবস্থার বাড়াবাড়িটা তাই বেশ দৃষ্টিকটূ। আর এক শহর কলকাতায় সুসংহত ব্যবস্থাপনার ছবিটা পাশাপাশি রাখলে দিল্লি আরও বেশি দৃষ্টিকটূ।

কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীও ক্ষোভ গোপন রাখতে পারলেন না। অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে দিল্লির স্থানীয় সংগঠক কমিটি জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে যে ব্যবস্থাপনা করেছে, তা দেখে টুইটারেও ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর। প্রশিক্ষণহীন স্বেচ্ছাসেবী দল, অপরিচ্ছন্ন গ্যালারি, স্টেডিয়াম জুড়ে অস্বাচ্ছন্দ্য, খেলা চলাকালীন গ্যালারিতে জল-খাবারের জন্য হাহাকার— মন্ত্রীর ক্ষোভ অমূলক নয় মোটেই। বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথি-অভ্যাগতদের সমাবেশ এখন দিল্লিতে। অব্যবস্থা দেখে ভারত সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রীর বিচলিত হওয়া তাই অস্বাভাবিক নয় মোটেই।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে বিশ্বকাপের অব্যবস্থায় রুষ্ট কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী

দিল্লির ফুটবল আয়োজনকে আরও বেশি কুশ্রী লাগছে, যখন তুলনায় আসছে কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সুবন্দোবস্ত। নব কলেবরের যুবভারতী এমনিতেই চোখ জুড়িয়ে দিচ্ছে প্রত্যেকের। স্টেডিয়ামে যাতায়াতের ব্যবস্থাপনা বেশ মসৃণ। গ্যালারিতে দর্শকদের স্বাচ্ছন্দ্য আগের চেয়ে অনেক বেশি। আয়োজন নিয়ে অভিযোগ তো নেই-ই, বরং মুগ্ধতা রয়েছে প্রায় সব মহলেই। এই মুগ্ধতার জন্য বা এই সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য স্থানীয় সংগঠকরা তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকার কিন্তু প্রশংসা পেতেই পারে। এ রাজ্যের সরকারের হাত ধরেই এই নতুন অবতার যুবভারতীর।

অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল বিশ্বকাপে আরও একটি দিক থেকে দিল্লিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে কলকাতা। অংশগ্রহণ বা অংশীদারিত্বে কলকাতা অনেক বেশি সক্রিয় দিল্লির চেয়ে। নিজের দেশের একটা ম্যাচও পায়নি কলকাতা। ইংল্যান্ড বনাম চিলে ম্যাচ দিয়ে কলকাতার বিশ্বকাপ প্রবেশ। কিন্তু সেই ম্যাচ ঘিরেও যে প্রবল উৎসাহ দেখা গেল, যুবভারতীর গ্যালারির ছবি যে ভাবে সংগঠকদের মুখে হাসি ফোটাল, সেই ছবি শুধু দিল্লিতে নয়, ভারতের অন্য যে কোনও শহরেই খুঁজে পাওয়া কঠিন।

ফুটবলের শহর হিসেবে নিজের পরিচিতিটা সম্ভবত আরও একবার ঝালিয়ে নিচ্ছে কলকাতা। এ শহরের শিরা-ধমনীতে ফুটবল ছোটে, এ শহরের মনেপ্রাণে ফুটবল গড়ায় নিরন্তর। তাই আয়োজন হোক বা অংশগ্রহণ, প্রাণের পরশ সর্বত্র। কলকাতার থেকে কিছুমাত্র শিক্ষা যদি এ বিষয়ে নিতে পারে দিল্লি, আরও লজ্জার হাত থেকে এ যাত্রা অন্তত রেহাই পাবে দেশ।

Newsletter Anjan Bandyopadhyay অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় Jawaharlal Nehru stadium FIFA U-17 World Cup Mismanagement Rajyavardhan Singh Rathore
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy