কলকাতা থেকে মেধাতালিকায় অষ্টম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে অবন্তিকা রায়। লেকটাউনের বাসিন্দা রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা স্কুলের ছাত্রী পরীক্ষায় ৭০০-র মধ্যে ৬৮৮ নম্বর পেয়েছে। এমন ফল কি আশা করেছিল সে? প্রশ্নের উত্তরে অবন্তিকা বলে, “এত দিনের পরিশ্রম সার্থক হল। তবে প্রথম দশের মধ্যে নিজের নাম শুনব সেটা ভাবিনি। মায়ের সাহায্য ছাড়া এই ফলাফল করতে পারতাম না।”
১০ ঘণ্টার বেশি পড়াশোনা করতে নারাজ অবন্তিকা ভৌতবিজ্ঞান নিয়ে পড়তে পছন্দ করে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি, খেলাধুলোর জন্য সময় বাঁচিয়েছে সে। রুটিন তৈরি থেকে শুরু পড়াশোনা সম্পর্কিত বিষয়ে যাবতীয় সহযোগিতা করেছেন অবন্তিকার মা মুনমুন রায়। তিনি জানিয়েছেন, অবন্তিকা সত্যজিৎ রায়, হ্যারি পটারের বই পড়তে ভালবাসে। ইতিহাস আর বাংলার জন্য কোনও গৃহশিক্ষকও ছিল না। সবটাই দেখতেন মুনমুন।
মাধ্যমিকে রাজ্যের সেরা তিন কৃতী। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক।
স্কুলের দিদিদের থেকেও অবন্তিকা বই পড়া থেকে শুরু রুটিন মেনে চলার মতো বিষয়ে পরামর্শ পেয়েছে। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায় অবন্তিকা। দুঃস্থদের সেবা করাই তার ভবিষ্যতের লক্ষ্য।
বাবা হেমন্ত রায় পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি জানিয়েছেন, মেয়ের মা, স্কুলের মাতাজি এবং দিদিদের সাহচর্যেই এমন ফলাফল হওয়া সম্ভব হয়েছে। মা মুনমুন রায় এমএ এবং বিএড করেছেন, তাই বাড়িতে পড়াশোনার বিষয়টা তিনিই দেখতেন। কেমন লাগছে জানতে চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর দিলেন, “খুব খুশি মেয়ের এই সাফল্যে।” জানালেন, নাম ঘোষণা হওয়ার পরই কেঁদে ফেলেছিলেন।