ইন্টারনেট হোক বা সাধারণ গ্রন্থাগার— তথ্যের খোঁজে মানুষের বিচরণ সর্বত্র। রান্নাঘরের কালি মোছা থেকে শুরু করে নতুন চাকরির সন্ধান, সব কিছুর খোঁজ মেলে তথ্যভাণ্ডারে। প্রয়োজন অনুযায়ী ওই সমস্ত তথ্য সাজিয়ে দেন বিশেষজ্ঞেরা।
দ্বাদশের পর শুরু কী ভাবে?
বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠার জন্য প্রস্তুতি শুরু হতে পারে দ্বাদশ উত্তীর্ণ হওয়ার পরই। উচ্চমাধ্যমিক কিংবা সমতুল পরীক্ষায় যাঁদের পদার্থবিদ্যা, গণিতের মতো বিষয়ে রয়েছে, তাঁরা ইনফরমেশন সায়েন্স নিয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবেন।
এ ছাড়াও যাঁরা কলা বা বাণিজ্য বিভাগের পড়ুয়া, তাঁরা লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স নিয়ে স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে পারবেন। পরবর্তীতে তাঁদের জন্য স্নাতকোত্তর স্তরে ইনফরমেশন সায়েন্স নিয়ে পড়ার সুযোগ থাকবে।
পাঠ্যক্রম সংক্রান্ত খুঁটিনাটি:
স্নাতক স্তরে ইনফরমেশন সায়েন্স-এর পড়ুয়াদের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ়, ডেটা স্ট্রাকচারস, ডেটাবেস অ্যান্ড এসকিউএল, ইনফরমেশন সিস্টেমস, ক্লাউড অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি ও মেশিন লার্নিং-এর বেসিকস শেখানো হয়ে থাকে। এ ছাড়াও বিজ্ঞান শাখার অধীন রাশিবিজ্ঞান, ডেটা অ্যানালিসিস, ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট, ডেটা কিউরেশন, ডিজিটাল লাইব্রেরি-এর মতো বিষয়ে ডিগ্রি কোর্স পড়ানো হয়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়-সহ দেশের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান উল্লিখিত বিষয়টি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজ্ঞান শাখার অধীনে পড়ানো হয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার জন্য জেইই মেন, কুয়েট ইউজি-র মতো প্রবেশিকায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রয়োজন।
চাকরির সুযোগ:
ডেটা অ্যানালিস্ট, ইনফরমেশন অ্যানালিস্ট, নলেজ ম্যানেজার, পলিসি অ্যানালিস্ট, ইউজ়ার এক্সপেরিয়েন্স (ইউএক্স) রিসার্চার, ডিজিটাল আর্কাইভিস্ট— এই সমস্ত পদে ইনফরমেশন সায়েন্স-এ উচ্চশিক্ষিতদের কাজের সুযোগ থাকে। তবে, পড়ুয়াদের রাশিবিজ্ঞান, নলেজ অর্গানাইজ়েশন, প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, ডেটা অ্যানালিসিস-এর মতো বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে হয়। এতে, প্রযুক্তি নির্ভর ডেটাবেস সংক্রান্ত বিভাগে চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার মেলে।
এ ছাড়াও সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থায় ডেটা সায়েন্টিস্ট, নলেজ ম্যানেজার, ডেটা গভর্নেন্স স্পেশ্যালিস্ট, ইনফরমেশন আর্কিটেক্ট-এর মতো পদেও চাকরির সুযোগ থাকে।
এই ধরনের চাকরির শুরুতে বার্ষিক বেতনক্রম ৪ থেকে ৭ লক্ষ টাকা হলেও পরে বিশেষজ্ঞ হিসাবে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারলে তা ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে যায়। বিদেশের লাইব্রেরি এবং ইনফরমেশন সেন্টারে এমন বিশেষজ্ঞদের চাহিদাও রয়েছে যথেষ্ট।