আগামী মার্চে সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে চলেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার আগে সেনেট পুনর্গঠন করতে চলেছেন কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন নিয়ে প্রাথমিক ছাড়পত্র দিয়েছে সিন্ডিকেট। সেনেট পুনর্গঠনের পর সিদ্ধান্ত হবে পরবর্তী পদক্ষেপ বিষয়ে।
২০২০-এ শেষ বার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ স্ট্যাটুইটারি বডি সেনেট-এর বৈঠক হয়েছিল। তারপরে প্রায় পাঁচ বছর স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় সেনেট কার্যকর ছিল না। গত অক্টোবরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য পদে যোগ দিয়েছেন আশুতোষ ঘোষ। তার পরই শুরু হয়েছে তৎপরতা।
আরও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সমাবর্তন আয়োজনে সেনেটের অনুমোদন গুরুত্বপূর্ণ। সেনেটের প্রধান আচার্য তথা রাজ্যপাল। অন্তত ১০টি কলেজের অধ্যক্ষ এবং উচ্চশিক্ষা সংসদের প্রতিনিধিরা থাকেন সদস্য হিসাবে। এছাড়া থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যেরা।
জানা গিয়েছে, জানুয়ারির গোড়ায় আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে সেনেট পুনর্গঠন ও সমাবর্তন অনুষ্ঠান বিষয়ে আলোচনা করা হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা সংসদকেও চিঠি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এ বারের সমাবর্তনে কারা ডিলিট বা ডিএসসি পাবেন, তা নির্ধারিত হবে সেনেট পুনর্গঠনের পরই। এ বিষয়ে আচার্যের সঙ্গে কথা বলবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
দীর্ঘ ৬ বছর পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান হতে চলেছে। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, এ বছর ১,১০০ গবেষককে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হবে। এ ছাড়া ১৫০ জন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ সমাবর্তন আয়োজিত হয়েছিল ২০২০-এ। ২০২২-এ সমাবর্তন অনুষ্ঠান ছাড়াই শেষ পিএইচডি স্কলারদের সম্মাননা দেওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় তরফে। ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে যারা পিএইচডি অর্জন করেছেন তাঁদের সম্মাননা জ্ঞাপন করা হবে এ বারের সমাবর্তনে।