সত্তর আশির দশকে শুধু সিনেমা হলে বা টেলিভিশন চ্যানেলেই সিনেমা দেখার সুযোগ থাকত। এর পর কালের নিয়মে বদলেছে সিনেমা দেখার ধরন। ভিসিআর, ডিভিডি প্লেয়ার, কেবল টিভি, ডিশ টিভি, মাল্টিপ্লেক্সের হাত ধরে সিনেমা দেখার মাধ্যম বদলেছে। চলনে বলনে, রূপ-রস-গন্ধে বদলেছে সিনেমার ভাষাও।
তবে, সিনেমা তৈরির ভাষাও কি বদলেছে? সম্পাদনা বা ক্যামেরার কারসাজিতে প্রযুক্তির প্রভাব কতটা? সিনেমা সংক্রান্ত এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন রাজ্য সরকারের তরফে আয়োজিত একটি বিশেষ কোর্সের মাধ্যমে, যার ক্লাস চলতি বছরে শুরু হতে চলেছে।
রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগের অধীনস্থ ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিল্ম অ্যাকাডেমির তরফে সমস্ত সিনেপ্রেমীর জন্য বিশেষ কোর্সের আয়োজন করা হয়েছে। ‘ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স’ শীর্ষক ওই কোর্সটি ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সিরা করার সুযোগ পাবেন। এ ক্ষেত্রে চাকরিজীবী কিংবা টেকনিশিয়ানরাও আবেদন করতে পারবেন।
ক্যামেরার কারসাজিতে প্রযুক্তির প্রভাব কতটা? তা নিয়েও চলবে চর্চা। প্রতীকী চিত্র।
আবেদনের জন্য পছন্দের পাঁচটি সিনেমার নাম এবং তা ভাল লাগার কারণ দর্শাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সিনেমা সংক্রান্ত কোনও বিশেষ বিষয় নিয়ে আগ্রহী কি না, তাও জানাতে হবে। তবেই কোর্সে যোগদানের সুযোগ মিলবে। কোর্স করার জন্য আলাদা করে কোনও ফি জমা নেওয়া হচ্ছে না।
তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর অফ ফিল্মস কুশল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কোর্স ফি হিসাবে কোনও অর্থ নেওয়া হবে না। প্রতি বছরের মত এ বারও কোর্সের ক্লাস বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলবে। ক্লাস শেষ হওয়ার পরে ওই দিনের বিষয়বস্তু সম্পর্কিত চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থাও থাকছে।
আগ্রহীদের একটি ফর্ম পূরণ করে তার সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতা, ঠিকানা, বয়সের প্রমাণপত্র এবং সচিত্র পরিচয়পত্রের স্বপ্রত্যয়িত নথি সশরীরে এসে নন্দনের একতলার লাইব্রেরিতে জমা দিতে হবে। তবে দূরের জেলার শিক্ষার্থীরা ই-মেল মারফতও আবেদন জমা দিতে পারবেন। প্রার্থীদের ১৬ এবং ১৭ জুলাই ইন্টারভিউয়ের জন্য উপস্থিত থাকা প্রয়োজন। আবেদনের ফর্মটির ডাউনলোড করার জন্য রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে (wb.gov.in) গিয়ে মূল বিজ্ঞপ্তিটি দেখে নেওয়া প্রয়োজন। আবেদনের শেষ দিন ১০ জুলাই।