Advertisement
১০ অক্টোবর ২০২৪
WB Class 11 first semester

বন্যা কবলিত এলাকায় পরিবর্তন হচ্ছে পরীক্ষার দিন, বিজ্ঞপ্তি কেন নয়, প্রশ্ন শিক্ষামহলের একাংশের

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হল স্থানীয় ভাবে পরিস্থিতি বুঝে পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করে স্কুলগুলি পরীক্ষা নিতে পারবে। তবে এই সংক্রান্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে প্রকাশ করা হবে না।

বন্যায় ভাসছে স্কুল প্রাঙ্গন।

বন্যায় ভাসছে স্কুল প্রাঙ্গন। সংগৃহীত চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:০২
Share: Save:

শুরু হয়েছে একাদশের সিমেস্টার পরীক্ষা। আর এর মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন স্কুল ভবন। কী করে পরীক্ষা দেবে পরীক্ষার্থীরা এই প্রশ্ন যখন উঠছে, তখন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হল স্থানীয় ভাবে পরিস্থিতি বুঝে পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করে স্কুলগুলি পরীক্ষা নিতে পারবে। তবে এই সংক্রান্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে প্রকাশ করা হবে না।

বিজ্ঞপ্তি কেন নয়? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষক সংগঠনগুলির একাংশ। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘যে সমস্ত ব্লক বা জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, স্কুলবাড়ির ক্ষতি হয়েছে, সেখানে লোকাল জয়েন্ট কনভেনার এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকদের শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা যেন পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। পরিস্থিতি উপযুক্ত হলে পরীক্ষা গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে অন্যত্র যে ভাবে পরীক্ষা চলছে সে ভাবেই চলবে।’’

বন্যায় ভাসছে স্কুলের মাঠ।

বন্যায় ভাসছে স্কুলের মাঠ। সংগৃহীত চিত্র।

বৃষ্টি ধরেছে, ঝাড়খন্ডে নিম্নচাপের জেরে অতিবৃষ্টির কারণে মাইথন-পঞ্চায়েতের মতো ডিভিসির জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ার ফলে বন্যার কবলিত হয়েছে পশ্চিমবাংলায় বিভিন্ন জেলার বেশ কিছু অংশ। সেই জায়গাগুলিতেও রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গ বেশ কয়েকটি জেলার পাশাপাশি মালদহ, মুর্শিদাবাদের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অপেক্ষাকৃত নিচু এসাকার উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল প্লাবিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ও বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে দক্ষিণবঙ্গের অনেকটা অংশ জুড়ে ও মালদহ, মুর্শিদাবাদে বন্যা দেখা দিয়েছে। বহু স্কুলবাড়ি জলের তলায় এবং স্কুল বন্ধ রাখতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একাদশের পরীক্ষা কী ভাবে নেওয়া হবে তা নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ কোন‌ও লিখিত নির্দেশ দিচ্ছে না। দেখে আমরা অবাক হচ্ছি। সত্যি দুর্ভাগ্যজনক।”

বন্যার জলে ভেসে গেছে স্কুলের গেট।

বন্যার জলে ভেসে গেছে স্কুলের গেট। সংগৃহীত চিত্র।

প্রত্যেক বছর এই সময়টা বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বাংলার বিভিন্ন জেলায়। শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে রুটিন করে দেওয়ার জন্য আরও বেশি সমস্যা তৈরি হয়েছে। তার উপর প্রশাসনিক বিজ্ঞপ্তি নেই পরীক্ষা বাতিল বা আপাতত স্থগিত করা নিয়ে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।

স্কুলের একটি অংশ বন্যার জলে থৈ থৈ।

স্কুলের একটি অংশ বন্যার জলে থৈ থৈ। সংগৃহীত চিত্র।

কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যাণ্ট হেডমাস্টার্স অ্যাণ্ড অ্যাসিস্ট্যাণ্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির জন্য একাদশ শ্রেণির প্রথম সিমেস্টার পরীক্ষা নেওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে গিয়েছে। যে হেতু শিক্ষা সংসদ রুটিন করে দিয়েছে, তাই আমরা মনে করি সংসদের লিখিত নোটিস প্রকাশ করা উচিত। আমাদের সুপারিশ ভবিষ্যতে সিমেস্টার এর দিন ভিত্তিক রুটিন থেকে সংসদ নিজেদের বিরত রাখুক, নইলে অহেতুক জটিলতা তৈরি হবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

wb Semester Exam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE