২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষিত। বুধবার দুপুরে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফলপ্রকাশ করেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। জানালেন, এ বার জেলাভিত্তিক পাশের হারে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনা। এর পরবর্তী অর্থাৎ তৃতীয় স্থানটিই দখল করে নিয়েছে কলকাতা।
শিক্ষা সংসদ সভাপতি জানান, কলকাতা থেকে এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পাশের হার ৯৩.৪৩ শতাংশ। মেধাতালিকায় যে ৭২ জন কৃতী জায়গা করে নিয়েছে, তার মধ্যে কলকাতা থেকে রয়েছেন চার জন। এঁদের মধ্যে কেউ বিজ্ঞান, কেউ বাণিজ্য আবার কেউ কলা বিভাগের পড়ুয়া। তবে এঁদের মধ্যে একটাই মিল। সকলেই সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। রয়েছে সুস্পষ্ট বক্তব্যও।
মেধাতালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছেন তথাগত রায় এবং অঙ্কিত চক্রবর্তী। দু’জনের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০ (৯৮ শতাংশ)। তথাগত কলকাতার পাঠভবন স্কুলের ছাত্র। নিয়মমাফিক পড়াশোনার ফাঁকে শখ বলতে তবলা বাজানো। ফলাফলে খুব খুশি হলেও তাঁর কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্য নেই। তাই সমস্ত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাই দিচ্ছেন। অন্য দিকে, বেহালা হাই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছেন অঙ্কিত। বাবা পুলিশকর্মী, মা সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। বরাবরই অঙ্কে ভীতি। তাই দ্বাদশে ছিল ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিদ্যা-র মতো বিষয়। আর তাতেই এই চমকপ্রদ ফল। কিন্তু তথাগত এবং অঙ্কিত দু’জনেরই স্পষ্ট বক্তব্য, আমরা শান্তির পক্ষে। আমরা যেমন জঙ্গিহানার বিরোধিতা করি। তেমনই চাই এই সমস্যার সমাধান কূটনৈতিক ভাবে হোক। প্রথমেই কোনও প্রত্যাঘাতের মাধ্যমে নয়।
আরও পড়ুন:
মেধাতালিকায় নবম স্থানে রয়েছে শৌনক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সৃজিতা দত্ত। শৌনক টাকি হাউস গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড মাল্টিপারপাস স্কুল ফর বয়েজ়ের পড়ুয়া ছিল। অন্য দিকে, সৃজিতা বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্রী। দু’জনের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯ (৯৭.৮ শতাংশ)। শৌনক পড়েছিলেন বাণিজ্য নিয়ে। পছন্দ তবলা আর ফুটবল। ভবিষ্যতে বি কম নিয়ে পড়ে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হওয়াই লক্ষ্য। অন্য দিকে, সৃজিতা বিজ্ঞানের ছাত্রী ছিলেন। পড়তে চান অঙ্কে অনার্স নিয়ে। কিন্তু ভবিষ্যতে ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়ে সরকারি আমলা হতে চান। অবসর যাপন করেন দাবা খেলে, ছবি এঁকে, গান শুনে বা খবর পড়ে। এই দুই কৃতীও আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের সমস্যা সমাধানের পক্ষে। অন্যায়ের বিচার চান। শাস্তি চান। রাষ্ট্রপ্রধানেরা তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ করবেন সে আশাও রাখেন। তবে কখনওই চান না যুদ্ধের ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হোক।