বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক (এনআইআরএফ)-এর তালিকা। শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান নয়া দিল্লি এই র্যাঙ্ক তালিকা প্রকাশ করেন। মোট ১৭টি বিভাগে সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম ইঞ্জিনিয়ারিং। সেখানে এ রাজ্যের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে।
গত বছরের মতোই এনআইআরএফ-এর সার্বিক বিভাগ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রথম স্থানে রয়েছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) মাদ্রাজ। ২০১৬ সাল থেকে লাগাতার প্রথম স্থান অধিকার করে রয়েছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এমনকি সার্বিক ভাবেও পর পর সাত বছর প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছে আইআইটি মাদ্রাজ।
তালিকায় দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে আইআইটি দিল্লি, আইআইটি বম্বে এবং আইআইটি কানপুর। আগের বছরের মতোই নিজের স্থান অক্ষুণ্ণ রয়েছে আইআইটি খড়্গপুরের। তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর পর ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম এবং দশম স্থানে রয়েছে আইআইটি রুরকি, আইআইটি হায়দরবাদ, আইআইটি গুয়াহাটি এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, তিরুচিরাপল্লি এবং আইআইটি বিএইচইউ।
আরও পড়ুন:
২০১৫ সালে থেকে এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হচ্ছে। দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন সূচকের ভিত্তিতে সেরার তালিকায় স্থান দেওয়া হয়। চলতি বছরে সংশ্লিষ্ট র্যাঙ্কিং-এর জন্য ১৪,১৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নাম নথিভুক্ত করেছে। বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানের উৎকর্ষ বিচার করা হয় তাদের শিক্ষাদানের পদ্ধতি, গবেষণা ও পেশাদারি কর্মপদ্ধতি, স্নাতকের ফলাফল ইত্যাদি খুঁটিনাটি তথ্য যাচাই করে। ২০২৫-এ ‘গবেষণা ও পেশাদার কর্মপদ্ধতি’ মাপকের ক্ষেত্রে কোনও প্রতিষ্ঠান যদি তাদের কোনও গবেষণাপত্র প্রত্যাহার করে, তার ভিত্তিতে নেগেটিভ মার্কিং করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। চলতি বছরে ‘সাস্টেনেবেল ডেভেলপমেন্ট গোল’ বা সুস্থায়ী উন্নয়ন সংক্রান্ত আরও একটি মাপক যোগ করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলি সুস্থায়ী পরিকাঠামো কী ভাবে মেনে চলছে, লিঙ্গসাম্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পড়াশোনার দিকে কতটা জোর দিচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।