উৎকর্ষ তালিকায় বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়ল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে প্রকাশ করা হয় সর্বভারতীয় সমীক্ষার ফল। ২০২৫ এনআইআরএফ-এর (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক) তালিকার বিভিন্ন বিভাগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানচ্যুতি ঘটেছে গত বছরের তুলনায়।
সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সার্বিক উৎকর্ষের নিরিখে যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান ৪৭। অথচ, গত বছর তারা ছিল ২৬তম স্থানে। এক বছরে ২১ ধাপ পিছিয়েছে ১৬৮ বছরের প্রাচীন এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
আবার সারা দেশের রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে সেরার যে তালিকা প্রকাশ করেছে এনআইআরএফ, সেখানেও ১১ ধাপ পিছিয়েছে কলকাতা। গত বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল চতুর্থ স্থানে। এ বার তারা রয়েছে ১৫তম স্থানে। দ্বিতীয় স্থান থেকে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গেরই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও ১ এবং ১৫-এর মধ্যে এ রাজ্যের আর কোনও বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পায়নি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ুর আন্না বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় স্থানে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ স্থানে অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং পঞ্চম স্থানে কেরল বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন:
এমনকি গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসাবেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফল আশানুরূপ নয়। এই বিভাগেও গত বছরের তুলনায় বেশ কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ৩৬তম স্থান থেকে ১২ ধাপ পিছিয়ে এ বছর তারা পৌঁছেছে ৪৮-এ।
চলতি বছরে কেন্দ্রের উৎকর্ষ তালিকায় নাম তোলার জন্য সারা দেশের ১৪,১৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নাম নথিভুক্ত করেছিল। ২০১৫ সালে থেকে এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হচ্ছে। দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন সূচকের ভিত্তিতে সেরার তালিকায় স্থান দেওয়া হয়। বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানের উৎকর্ষ বিচার করা হয় তাদের শিক্ষাদানের পদ্ধতি, গবেষণা ও পেশাদারি কর্মপদ্ধতি, স্নাতকের ফলাফল ইত্যাদি খুঁটিনাটি তথ্য যাচাই করে।
কিন্তু কেন এ বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফল এত খারাপ হল, প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষামহলে। এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্যের উপর নির্ভর করেই তালিকা তৈরি করে কেন্দ্র। সেখানেই কোনও গাফিলতি থেকে গিয়েছিল কি না, তা দেখতে হবে। তিনি বলেন, “কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের যা পরিকাঠামো, বা গবেষণা ক্ষেত্রে আমাদের যে উৎকর্ষ, তাতে এর থেকে অনেক ভাল ফল হওয়াই উচিত ছিল। কেন্দ্রীয় রিপোর্টটি খতিয়ে দেখতে হবে। পর্যালোচনার পর বিষয়টি সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারব।”