প্রাচীন ও দুষ্প্রাপ্য পাণ্ডুলিপি ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণের পথে আরও এক ধাপ এগোল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীনস্থ জ্ঞান ভারতম মিশন প্রকল্পে কাজ করবে প্রয়াগরাজের হিন্দি সাহিত্য সম্মেলন, কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটি, কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়, চেন্নাইয়ের গর্ভনমেন্ট ওরিয়েন্টাল ম্যানুস্ক্রিপ্ট লাইব্রেরির মতো একাধিক প্রতিষ্ঠান। দেশের পূর্বাঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলিকে ওই কাজে ক্লাস্টার সেন্টার হিসাবে পথ দেখাবে এশিয়াটিক সোসাইটি।
কী ভাবে প্রতিষ্ঠানগুলি পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণ এবং পাঠোদ্ধারের কাজ করতে হবে, কী ভাবে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে এর আওতায় আনতে হবে— সবটাই ওই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থির করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে এই কাজটি ২০টি প্রতিষ্ঠান শুরু করতে চলেছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলিকে ক্লাস্টার সেন্টার এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট সেন্টার হিসাবে চিহ্নিত করে কাজ ভাগ করে দেওয়া হবে, যাতে স্থানীয় স্তরে পাণ্ডুলিপি উদ্ধার, তার অনুবাদের কাজ দ্রুত সম্পূর্ণ করা যেতে পারে।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের মউ স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকেরা। ছবি: সংগৃহীত।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক জানিয়েছে, দ্রুতই আরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়কে এই কাজের আওতায় আনা হবে। উদ্ধার হওয়া পাণ্ডুলিপি ডিজিটাল কপি ‘ন্যাশনাল ডিজিটাল রেপোসিটরি’ শীর্ষক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্ত থেকে পড়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। এই কাজের জন্য জ্ঞান ভারতম সেলও তৈরি করা হবে। ওই বিভাগের বিশেষজ্ঞেরা প্রতিষ্ঠানগুলিকে সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরি, ক্যাটালগ বাছাই, অনুবাদ এবং ডিজিটাইজ়েশনের খুঁটিনাটি বিষয়গুলিতে সহযোগিতা করবেন।
শনিবার ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মর্ডান আর্ট-এ আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১৭টি সেন্টার, ১২টি ক্লাস্টার সেন্টার এবং ৫টি ইন্ডিপেন্ডেন্ট সেন্টারের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক।