নামী সংস্থায় কাজের সুযোগের হাতছানিতে সাড়াই দিলেন না দেশের পড়ুয়ারা। ১ লক্ষেরও বেশি আসন থাকা সত্ত্বেও পিএম ইন্টার্নশিপ সম্পূর্ণ করলেন মাত্র ৩০ শতাংশ পড়ুয়া।
কেন্দ্রের কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে ২০২৪-এর ৩ অক্টোবর থেকে দ্বাদশ উত্তীর্ণদের জন্য ইন্টার্নশিপ প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। সেই সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছিলেন, বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০০-র বেশি নামী সংস্থায় কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পেতে চলেছে। যদিও প্রকল্প চালু হওয়ার এক বছরের মধ্যেই দেখা গেল অন্য ছবি।
কী পরিস্থিতি?
কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইন্টার্নশিপের প্রথম ধাপের জন্য ১ লক্ষ ২৭ হাজারেরও বেশি আসন বরাদ্দ করার পরে আবেদনপত্র জমা পড়েছিল ৬ লক্ষ ২১ হাজার। তার মধ্যে থেকে কাজের সুযোগ পেয়েছেন ৮,৭০০ জন। কিন্তু সেখান থেকে ৪,৫৬৫ জন চুক্তির সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ইন্টার্নশিপ ছেড়ে দেন।
পরবর্তী ধাপের জন্য ১ লক্ষ ১৮ হাজারের বেশি আসন বরাদ্দ করা হলে নতুন করে ৪ লক্ষ ৫৫ হাজারের বেশি আবেদনপত্র জমা পড়ে। কিন্তু তাতেও মাত্র ২৪,৬০০ জন ইন্টার্নশিপের সুযোগ পান। কিন্তু এ বারেও চুক্তি শেষ হওয়ার আগে বেরিয়ে যান ২,০৫৩ জন।
এই প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে জানিয়েছেন, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মাত্র ৩৩, ৩০০ জন পড়ুয়া (৩০ শতাংশ ) প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন।
সরকারের অধীনে ইন্টার্নশিপে আগ্রহ নেই কেন?
কেন আগ্রহ নেই, তা জানতে মন্ত্রকের তরফে প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। উত্তরে প্রার্থীরা জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে কম দূরত্বের সংস্থায় প্রশিক্ষণ নিতেই বেশি আগ্রহী তাঁরা। তাই ভাল সংস্থায় ইন্টার্নশিপের সুযোগ থাকলেও প্রার্থীরা বেশি দূরে যেতে চাননি। এ ছাড়াও প্রশিক্ষণের মেয়াদ ১২ মাস পর্যন্ত হওয়ায় বহু প্রার্থীই আগ্রহ প্রকাশ করেননি। কিছু ক্ষেত্রে যে বিভাগে বা যে পদে কাজের প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তা প্রার্থীদের পছন্দের তালিকায় না থাকায় তাঁরা প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক ব্য়াঙ্ক এবং আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলিকেও ইন্টার্নশিপ প্রকল্পে যোগদানের সুযোগ দিয়েছে। পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে যাতে আরও বেশি সংখ্যক পড়ুয়া এই প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী হন, তার জন্য আরও কিছু বিষয়ে নজর দেবে মন্ত্রক। উল্লেখ্য, কেন্দ্রের তরফে এই বিশেষ প্রকল্পের জন্য ৮৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেও পরে তা কমিয়ে ৩৮০ কোটি টাকা করে দেওয়া হয়েছে।