কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার সোমবার সংসদে অভিযোগ করেছেন রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান বা ‘রুশা’ খাতে পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া মেটানো যাচ্ছে না রাজ্যেরই গড়িমসিতে। এই খাতে ইতিমধ্যে ৩৫০ কোটিরও বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। বকেয়া রয়েছে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা। সুকান্ত দাবি করেছেন, এ বিষয়ে ইতিমধ্যে রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এ বার তার বিরুদ্ধেই মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সোমবার তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এমন কোনও চিঠি হাত পাননি।
সংসদে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী সংসদে অভিযোগ করেন, গত অগস্টে ‘রুশা’র বকেয়া প্রসঙ্গে উচ্চ শিক্ষা দফতরকে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্র। তারপরেও দফতরের তরফ থেকে কোনও তৎপরতা দেখানো হয়নি। সোমবার ব্রাত্য বসু বলেন, “এ ধরনের কোনও চিঠি আমাদের কাছে পাঠানো হয়নি। কোনও জটিলতা থাকলে অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। এই প্রকল্পের নাম এখন ‘রুশা’ নয়, ‘পিএমরুশা’ হয়ে গিয়েছে। এটি রাজ্যের ছেলেমেয়েদের টাকা। প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা থাকলে এই টাকা আটকে রাখতেন না।”
আরও পড়ুন:
সূত্রের খবর, ১৪৫টি প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্য পেয়েছে মোট ৩৮৩ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা। কিন্তু এ জন্য ধার্য হয়েছিল প্রায় ৯০০ কোটি টাকা।
মূলত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার কাজে এই টাকা ব্যবহার করা হয়। সূত্রের খবর, ‘রুশা’র বরাদ্দ সময় মতো হাতে না পেলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নানা সমস্যায় পড়ে। ফেলোশিপ বা স্কলারশিপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে গবেষণা থমকে যায়। আন্তর্জাতিক স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের অবনমন ঘটতে পারে। আবার ক্লাসরুম, গবেষণাগার বা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মেরামতির কাজও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন পার্থপ্রতিম বিশ্বাস বলেন, “এই খাতে শুধু টাকা দিলেই যে সব সমস্যার সমাধান হবে, তা নয়। ওই টাকা সঠিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে এসে পৌঁছতে হবে। না হলে সেটি খরচ করা সম্ভব নয় সরকারি নিয়ম মেনে।”