ছেলের নাম মেধাতালিকায়, বাবার চোখে জল নিজস্ব চিত্র।
সন্তানের সাফল্যে বাবা-মায়ের গর্ববোধ স্বাভাবিক। উচ্চ মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় সন্তানের নাম দেখে তাই চোখের বাধ মানল না বাবার। এমন দৃশ্যই দেখা গেল এই বছরের উচ্চ মাধ্যমিকে দশম স্থানাধিকারী সৌম্যদীপ দত্তের জয়নগরের বাড়িতে। প্রসঙ্গত, এ বার সৌমদীপ দত্ত ৪৮৭ (৯৭.৪ শতাংশ) নম্বর পেয়ে মেধাতালিকার দশম স্থানে নিজের জায়গা করে নিয়েছে।
সৌম্যদীপ এই ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর কার্যত বাকরুদ্ধ। প্রতিনিধিকে তিনি জানালেন, পরীক্ষার জন্য দিনে ৯ থেকে ১০ ঘন্টা পড়াশোনা করতেন৷ শিক্ষক-শিক্ষিকারা যে ভাবে পড়াশোনা করতে বলতেন, সেই নিয়ম মেনেই চলত তাঁর অধ্যবসায়। মেধাতালিকায় নাম আসুক মনে মনে চাইলেও এতটা ভাল ফলের আশা তিনি করেননি, এমনটাই বক্তব্য সৌম্যদীপের।
ভবিষ্যতে ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করে অধ্যাপনার পথে এগোতে চান সৌম্যদীপ ৷ এই একই স্বপ্ন দেখেছেন সৌম্যদীপের বাবা সুশীল দত্তও। ছেলের সাফল্যে কার্যত আবেগাপ্লুত তিনি। মাধ্যমিকে ছেলে মেধাতালিকায় জায়গা করে নিক, এমনটাই ইচ্ছে ছিল তাঁর। সেই আশা পূরণ না হওয়ায় ছেলেকে যথাসম্ভব সাহায্য করেছেন, যাতে উচ্চ মাধ্যমিকে সে মেধাতালিকায় জায়গায় করে নিতে পারে— এতটা একনাগাড়ে বলতে গিয়ে এ দিন চোখের জল লুকোতে পারলেন না তিনি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের সৌম্যদীপের সাফল্যে তাঁর পরিবার-পরিজন সহ পাড়া-প্রতিবেশী— সকলেই তাঁকে ভবিষ্যতের সাফল্যের কামনায় শুভেচ্ছাবার্তায় ভরিয়ে দিচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy