গত বছরগুলির মতো এ বারও নজির গড়ল বাঁকুড়া। ২০২৩ সালে প্রথম দশের মেধাতালিকায় ছিল জেলার ১৪ জন। ২০২৪-এ এই সংখ্যায় কিছুটা ছেদ পড়লেও ২০২৫-এ আবার আবার পুরনো রেকর্ড বাঁকুড়া জেলার। মোট ৬৬ জনের মেধাতালিকায় ১১ জনই বাঁকুড়ার। পড়ুয়াদের সাফল্যে খুশির জোয়ারে ভাসছে বাঁকুড়াবাসী।
১৯৯৬ সাল থেকে লাগাতার সাফল্য বাঁকুড়ার পড়ুয়াদের। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক— সাফল্যের নজির রেখে চলেছে কৃতীরা। মাঝের এক বছর ছিল ব্যতিক্রম। তবুও তিন জন ছিল প্রথম দশের মেধাতালিকায়।
এ বার জেলা থেকে দ্বিতীয় স্থানে সৌম্য পাল। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের কৃতীর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪। তৃতীয় স্থান এবং মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছে বাঁকুড়ার কোতুলপুর সরোজ বাসিনী বালিকা বিদ্যালয়ের ঈশানী চক্রবর্তী। নম্বর ৬৯৩। ষষ্ঠ স্থানে বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যোতিপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় এবং গোরাসোলে মুরলীধর হাই স্কুল, বাঁকুড়ার রুদ্রনীল সামন্ত। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। ৬৮৯ পেয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের অরিত্রা দে এবং বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুলের দেবাদ্রিতা চক্রবর্তী। অষ্টম স্থানে শুভ্রা সিংহ মহাপাত্র। বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। নবম স্থানে বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুলের অরিত্রী মণ্ডল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। দশম স্থানে আরও দুই পড়ুয়া। বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের এই দুই কৃতীর প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬।
উল্লেখ্য, এ বার ৬৯ দিনের মাথায় ফলপ্রকাশ করা হয়েছে। চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১০ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ২২ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪২৫ জন। এর মধ্যে রেগুলার পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৮৩ জন। পাশের হার ৮৬.৫৬ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। প্রথম দশে রয়েছে ৬৬ জন পরীক্ষার্থী। রইল সবিস্তার মেধাতালিকা।
মাধ্যমিকে প্রথম তিন।