শিক্ষা সংসদের নাম এবং প্রতীক ব্যবহার করে কিছু শিক্ষক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান অবৈধ ভাবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যের সমস্ত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সতর্ক করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, বিভিন্ন জেলা থেকে এই ধরনের অভিযোগ এসেছে। তবে এই ধরনের কোনও কার্যকলাপের জন্য সংসদ থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, ‘‘সংসদ আয়োজিত সমস্ত প্রশিক্ষণ বা ওরিয়েন্টেশন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা হয় এবং এর জন্য কোনও টাকা নেওয়া হয় না।’’
আরও পড়ুন:
সূত্র অনুযায়ী, প্রায় ১০-১৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে, যার মধ্যে অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেড মাস্টার্স অ্যান্ড হেড মিস্ট্রেসেস (এএসএফএইচএম)-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ১২ জুলাই তারা একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। যার মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নাম উল্লেখ ছিল। যদিও, এএসএফএইচএম সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এএসএফএইচএম-এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি প্রশ্ন তোলেন যে, সংসদ কেন এই প্রশিক্ষণগুলো দেয় না, যেখানে তাদের বাজেটের ২৫ শতাংশ এই খাতে খরচ করা বাধ্যতামূলক? তিনি আরও জানান, তাঁরা শুধুমাত্র সাংগঠনিক সভা করেন, কোনও প্রশিক্ষণ দেন না এবং এতে কোনও আর্থিক লেনদেন হয় না।
সংসদ স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, তাদের নিজস্ব ওরিয়েন্টেশন বা প্রশিক্ষণগুলো আঞ্চলিক অফিসগুলোর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। কোনও বেসরকারি সংস্থা, সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই কাজ করা হয় না। অতীতে শুধুমাত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠান হয়েছিল।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডলের মতে, সংসদের নাম ও প্রতীক ব্যবহার করে অনুমতি ছাড়া কোনও অনুষ্ঠান করা অন্যায়। তিনি দাবি করেন, এ ধরনের কাজে যুক্ত সংগঠনগুলোর নাম প্রকাশ্যে আনা উচিত।