প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকস্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষার ফলাফল কবে বের হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে নয়া জটিলতা। দ্রুত ফলাফল বের করার দাবিতে লাগাতার অবস্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএফআই ছাত্র সংগঠন।
জটিলতা বা বিবাদের সূত্রপাত জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগ্জ়ামিনেশন বোর্ড (ডব্লিউবিজেইইবি) এক কর্তার বক্তব্যকে ঘিরে। বোর্ডের ওই কর্তা বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় ফলাফল আমাদের তৈরি। ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে সরকারের নতুন নির্দেশ মেনে বিশ্ববিদ্যালয়কে পরীক্ষার্থীদের জাতিশংসাপত্র আপলোড করতে হবে। তারপরেই ফলাফল ঘোষণা করা যাবে। এই পরীক্ষার ব্যবস্থাপনায় তৃতীয় পক্ষ হিসাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যুক্ত রয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও দূরবর্তী এলাকার পড়ুয়ারাও যাতে পরীক্ষায় বসতে পারেন, তাই প্রবেশিকা পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় না নিয়ে, সমস্ত দায়িত্ব জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডকে দেওয়া হয়। ৯ বছর ধরে বোর্ড এই দায়িত্ব পালন করে আসছে। জয়েন্ট বোর্ডের এই বক্তব্যের পর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত অধ্যাপক জানিয়েছেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য কত পড়ুয়া পরীক্ষা দিয়েছেন তাঁদের কোনও তথ্য নেই। তানহলে কার কাছ থেকে কী করে জাতিশংসাপত্র আদায় করব। এটা মনে হয় কোনও ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যাতে সরকার এই বিষয়টি দ্রুত হস্তক্ষেপ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এই মর্মে জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চিঠি পাঠিয়েছেন উচ্চশিক্ষা দফতরে। উচ্চশিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড নিজেদের মতো কথা বলে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। তাই কোনও জটিলতা তৈরি হলে, তাঁদের নিজেদেরই সমাধান করতে হবে।
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকস্তরের ফলাফল এবং স্নাতকোত্তরের পরীক্ষার ফর্ম দ্রুত দেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার অবস্থান আন্দোলনে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই ছাত্র সংগঠন। তাদের দাবি, জুন মাসের ২১ ও ২২ তারিখ কলা ও বিজ্ঞান বিভাগের প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়েছে বোর্ডে। এ ছাড়াও ২৭ জুলাই স্নাতকোত্তরে ফর্ম দেওয়ার কথা ছিল বোর্ডের। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও দু'টি বিষয়ে নিরুত্তাপ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এই দু'টি দাবিকে সামনে রেখে আমরা লাগাতার অবস্থান শুরু করেছি।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই ছাত্রনেতা বিতান ইসলাম বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বশাসিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা কেন এই পরীক্ষা অন্য একটি সংস্থা কে দিয়ে করাবে। এই দেরি হওয়ার ফলে ভাল ছাত্র-ছাত্রীরা অন্য জায়গায় ভর্তি হয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় মান নষ্ট হবে।’’