বাংলায় ১০০-তে ১০০ পেয়ে রীতিমতো খুশিতে ভাসছে রাজারহাটের দিল্লি পাবলিক স্কুল মেগাসিটির ছাত্রী দেবোত্রি মজুমদার। সে এ বারের আইসিএসই (দশম)-এর পরীক্ষায় ৫০০-এ ৫০০ পেয়েছে। তার কোনও গৃহশিক্ষক ছিলেন না। ভাল ফল হবে, এই বিশ্বাস থাকলেও এই নম্বরটা সে একেবারেই আশা করেনি।
দেবোত্রি জানিয়েছে, স্কুলের পরীক্ষায় ইংরেজিতে আশানুরূপ নম্বর পায়নি সে। তাই ফাইনালে এমন কিছু হবে এটা আশাই করেনি। তবে, কৃতীর কথায়, “মাতৃভাষায় ফুল মার্কস পেয়েছি, এটা আমার কাছে গর্বের বিষয়।”

বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে দেবোত্রি ঘুরতেও ভালোবাসে। নিজস্ব চিত্র।
দেবোত্রির মা দীপাঞ্জনা মজুমদার এবং বাবা স্নেহাংশু মজুমদার দু’জনেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী এবং পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। একমাত্র মেয়ের ফলাফলে খুশি তাঁরা। দীপাঞ্জনা বলেন, “ওকে পড়ার জন্য আলাদা করে আমাকে কিছু বলতে হয়নি। ওকে পড়াশোনার বিষয়ে সময়ও মাপতে দেখিনি। গৃহশিক্ষকের বদলে ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছেই পড়াশোনা করেছে।”
ইংরেজি, বাংলা, হিস্ট্রি সিভিকস অ্যান্ড জিয়োগ্রাফি, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, সায়েন্স— প্রতিটি বিষয়ে ১০০ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে দেবোত্রি। বাবা-মা দু’জনেই ইঞ্জিনিয়ার, তাই তাঁদের পথেই হাটতে চায় সে। আইআইটি থেকে পড়াশোনা করতে চাইলেও খড়্গপুরে যাবে না অন্য কোথাও, সেটা দেবোত্রি দ্বাদশ উত্তীর্ণ হওয়ার পর ভাববে। আপাতত ফুল মার্কস পাওয়ার আনন্দ সে মা বাবার সঙ্গে উপভোগ করতে চায়।