জর্ডন বায়ুসেনার একটি বিমানকে গুলি করে নামাল ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিরা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সিরিয়ার রাকায়। বিমানচালক তাদের হাতে বন্দি আছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছে আইএস। আমেরিকার বিরুদ্ধে আইএস বিরোধী অভিযানে এই প্রথম যুদ্ধবিমান ধ্বংস হল। তবে এখনও আমেরিকা বা জর্ডনের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
লন্ডন-স্থিত সিরিয়ান অবজারভেটারি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, তাদের কাছে আরব দেশের একটি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের খবর এসেছে। তবে তা কোন দেশের বিমান এবং বিমানচালক ধরা পড়েছেন কি না সে সম্বন্ধে তাদের কাছে কোনও খবর নেই। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় আইএস যে ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে জর্ডন বায়ুসেনার এক চালককে ঘিরে জঙ্গিরা দাঁড়িয়ে আছে।
সেপ্টেম্বর থেকে আইএস-এর বিরুদ্ধে বিমান অভিযান শুরু করে আমেরিকা। পরে আরব ও ইউরোপের বেশ কিছু দেশ সেই অভিযানে অংশ নেয়। এত দিন আইএস-এর বিরুদ্ধে বিমান অভিযান প্রায় নির্বিঘ্নে কেটেছে। এ বার প্রথম বিমান ধ্বংসের খবর সামরিক মহলে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, এই ধরনের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করতে বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রয়োজন। সাধারণত, এই ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিনের উষ্ণতা পড়ে নিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে। খুব সহজে এই ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়া সম্ভব নয়। সিরিয়ান অবজারভেটারি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, তাদের কাছে খবর এসেছে বিমানটিকে ধ্বংস করতে ক্ষেপণাস্ত্রই ব্যবহার করা হয়েছে। ঘটনাটি সত্যি হলে তা আমেরিকা ও তার সহযোগী দেশগুলির পক্ষে যথেষ্ট চিন্তার।
সিরিয়ার রাকা আইএস-এর শক্ত ঘাঁটি। আইএস-এর সৃষ্টি রাকা থেকেই। স্বভাবতই রাকা আমেরিকার বিমান আক্রমণের অন্যতম লক্ষ্য। এর আগে রাকা ও তার আশপাশের অঞ্চলে বার বার আঘাত হেনেছে আমেরিকা ও তার সহযোগী দেশগুলি। সেই আক্রমণে সাফল্যও মিলেছে বলে মার্কিন সেনার পক্ষে থেকে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু এ দিনের ঘটনা প্রমাণ করল আইএস নতুন করে শক্তি ও অস্ত্র সঞ্চয় করতে শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy