মিজোরামের রাজ্যপালের পদ থেকে কমলা বেনিওয়ালকে অপসারণের বিষয়ে কেন্দ্র তথা বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার হল কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের বিবৃতি দাবি করেছে কংগ্রেস। অন্য দিকে, কমলা বেনিওয়াল অপসারণে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র।
বেনিওয়ালের অপসারণের বিষয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগে কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেন, “বেনিওয়ালকে অপসারণ করে সরকার শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অবমাননা করেছে তা-ই নয়, সংবিধানেরও অপমান করেছে।” এ বিষয়ে শীর্ষ আদালতের একটি রায়ের উল্লেখ করেন তিনি। আরও এক ধাপ এগিয়ে সংযুক্ত জনতা দল নেতা আলি আনোয়ার বলেন, “প্রতিশোধের রাজনীতি করছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। আর তার জেরেই এই অপসারণ।” সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইড়ুর অবশ্য দাবি, ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। আদালত অবমাননার বিষয়টিকেও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত। আইনমন্ত্রী রবিশঙ্করপ্রসাদ বলেন, “সংবিধান মেনেই এই সিদ্ধান্ত। রাষ্ট্রপতির অনুমতিক্রমেই এই সিদ্ধান্ত।” এবং এ বিষয়ে বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের দীর্ঘদিনের সহযোগী শিবসেনা। দলের তরফে সঞ্জয় রাউত বলেন, “বেনিওয়ালের আচরণ রাজ্যপালের থেকে রাজনীতিকদের মতো বেশি ছিল। তাঁকে অপসারণ করে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে সরকার।” সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে এনসিপি-ও।
গুজরাতের রাজ্যপাল থাকার সময় থেকেই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন ৮৭ বছরের এই কংগ্রেস নেতা। গুজরাতে লোকায়ুক্ত নিয়োগ নিয়ে সরকারের সঙ্গে তাঁর সংঘাত গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ২০০৯-এর অক্টোবরে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল হিসাবে নিযুক্ত হন বেনিওয়াল। ক্ষমতায় আসার পর বেনিওয়ালই প্রথম রাজ্যপাল যাঁকে বরখাস্ত করল এনডিএ সরকার। আপাতত মিজোরামের রাজ্যপালের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মণিপুরের রাজ্যপাল ভি কে দুগ্গলের হাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy