Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

খুনের মামলায় বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ধর্মগুরু রামপাল

খুনের মামলায় হাজিরা দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমার এক দিন আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামপাল। আর বৃহস্পতিবার আট বছরের আগের সেই মামলায় তাঁর জামিন খারিজ করে আট দিন বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। এ দিন সকালেই জামিন বাতিল করে রামপালকে অবিলম্বে নিজেদের হেফাজতে নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি এম জেয়াপল এবং বিচারপতি দর্শন সিংহের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার রাতে বিস্তর হাঙ্গামার পর হিসারের আশ্রম থেকে আদালত অবমাননার দায়ে গ্রেফতার করা হয় রামপালকে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ নভেম্বর।

জেল বন্দি ধর্মগুরু।

জেল বন্দি ধর্মগুরু।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৪ ১৩:৩৪
Share: Save:

খুনের মামলায় হাজিরা দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমার এক দিন আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামপাল। আর বৃহস্পতিবার আট বছরের আগের সেই মামলায় তাঁর জামিন খারিজ করে আট দিন বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। এ দিন সকালেই জামিন বাতিল করে রামপালকে অবিলম্বে নিজেদের হেফাজতে নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি এম জেয়াপল এবং বিচারপতি দর্শন সিংহের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার রাতে বিস্তর হাঙ্গামার পর হিসারের আশ্রম থেকে আদালত অবমাননার দায়ে গ্রেফতার করা হয় রামপালকে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ নভেম্বর।

২০০৬ সালে একটি খুনের মামলায় শুক্রবারের মধ্যে রামপালকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এর আগে মোট ৪২ বার পঞ্জাব ও হরিয়ানার বিভিন্ন আদালত এই ধর্মগুরুকে ডেকে পাঠালেও এক বারও হাজির হননি তিনি। দিন দশেক আগে হাইকোর্ট ফের এক বার হাজির হতে বলে রামপালকে। কিন্তু এ বারও আসতে চাননি ‘অসুস্থ’ এই ধর্মগুরু। চলতি মাসেই তিন বার হইকোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেন তিনি। এর পরই তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে হাইকোর্ট। খুনের মামলাটিতে পাওয়া জামিনও বাতিল করেন বিচারপতি। তবে জামিন বাতিল হলেও রায় ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়। এ দিন সেই রায় ঘোষণা করে তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। একইসঙ্গে তাঁকে দুপুর ২টোয় আদালতে হাজির হওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


চলছে রামপালের স্বাস্থ্য পরীক্ষা।

ধর্মগুরু ‘অসুস্থ’, এই অজুহাতে গত কয়েক দিন ধরে তাঁকে গ্রেফতার করতে পুলিশকে বাধা দিচ্ছিলেন তাঁর অনুগামীরা। ঝুঁকি না নিয়ে আশ্রম থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে চণ্ডীগড় নিয়ে আসা হয় রামপালকে। এ দিন একটি সরকারি হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন ডাক্তারের একটি দল। বিভিন্ন পরীক্ষার পর তাঁর স্বাস্থ্য স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে। এমনকী বিভিন্ন পরীক্ষার সময়ে তাঁর কোনও সহায্যের প্রয়োজনও হয়নি বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতালে ঢোকার সময়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নে ৬৩ বছরের এই ধর্মগুরু বলেন, ׅ“আমার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা।” আশ্রমে কোনও আবাসিককে আটকে রাখার অভিযোগও খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। বুধবার রাত থেকেই রামপালের আশ্রম থেকে আবাসিকদের বের করে আনার কাজ শুরু করেছিল পুলিশ। এ দিন সকালেও বেশ কিছু আবাসিককে বের করে আনা হয়। আশ্রম থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসতে প্রশাসনের তরফ থেকে বারবার আবেদন করা হয়। আশ্রম থেকে বেরিয়ে এক আবাসিক বলেন, “আশ্রমের বাইরে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ভয় দেখানো হচ্ছিল, বাইরে বেরোলেই পুলিশ গুলি চালাবে।” এ দিন সিআরপিএফ এবং পুলিশের যৌথ দল ফের একবার তল্লাশি চালায় হিসারের ওই আশ্রমে।

ছবি: পিটিআই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE