Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

দলীয় মুখপাত্রের পদ থেকে অপসারিত তারুর

দলীয় মুখপাত্রের পদ থেকে শশী তারুরকে সরাল কংগ্রেস। সোমবার দলের তরফে এক বিবৃতির মাধ্যমে এই ঘোষণা করা হয়। লোকসভা নির্বাচনের আগে গত জানুয়ারিতে শশী তারুরকে দলের মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। ‘স্বচ্ছ ভারত প্রকল্প’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে আগেই দলের একাংশের রোষে পড়েছিলেন তিনি। তা সত্ত্বেও, মোদীর আমন্ত্রণে প্রকল্পের ‘ব্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ হতে রাজি হয়েছিলেন তারুর।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৪ ১৭:৫৬
Share: Save:

দলীয় মুখপাত্রের পদ থেকে শশী তারুরকে সরাল কংগ্রেস। সোমবার দলের তরফে এক বিবৃতির মাধ্যমে এই ঘোষণা করা হয়। লোকসভা নির্বাচনের আগে গত জানুয়ারিতে শশী তারুরকে দলের মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল।

‘স্বচ্ছ ভারত প্রকল্প’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে আগেই দলের একাংশের রোষে পড়েছিলেন তিনি। তা সত্ত্বেও, মোদীর আমন্ত্রণে প্রকল্পের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ হতে রাজি হয়েছিলেন তারুর। প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরের সময়েও আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের কাছে মোদীর স্তুতি করেন শশী। তা নিয়ে প্রকাশ্যেই শশীর সমালোচনা করেন মণিশঙ্কর আয়ার-দিগ্বিজয় সিংহের মতো কংগ্রেস নেতারা।

স্বভাবতই গোটা বিষয়টি ভাল ভাবে নেননি দলের কেরল কমিটির নেতারা। এ দিন জনার্দন দ্বিবেদী জানিয়েছেন, হাইকম্যান্ডের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায় কেরল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি। এ বিষয়ে একটি রিপোর্টও জমা দেয় কমিটি। রিপোর্টের সেই সুপারিশগুলি মেনে নেন সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। এর পরেই তারুরকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। তিন সদস্যের ওই কমিটিতে ছিলেন মোতিলাল ভোরা, এ কে অ্যান্টনি এবং সুশীলকুমার শিন্দে।

লোকসভা নির্বাচনে তিরুঅনন্তপুরম আসনে জিতে সাংসদ হন তারুর। কংগ্রেস সূত্রে খবর, তারুরের বিরুদ্ধে রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাঁর মন্তব্যে হতাশ কেরলের দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। তারুরের নির্বাচনী প্রচারে অক্লান্ত খেটেছিলেন তাঁরা। কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা জানিয়েছেন, নিজের লেখা বইগুলিতে প্রয়াত ইন্দিরা গাঁধী এবং রাজীব গাঁধীর কড়া সমালোচনা করলেও ইউপিএ জমানায় প্রথম বার সাংসদ হওয়ার পরে শশীকে মন্ত্রী করেছিল দল। এর আগে বহু বার বিতর্কিত মন্তব্য করলেও প্রতিটি ক্ষেত্রেই দল তার অবস্থান স্পষ্ট করে শশীর মতকে ‘ব্যক্তিগত’ আখ্যা দিয়েছে। এমনকী, তাঁকে গত সেপ্টেম্বরে সংসদের বিদেশ নীতি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির শীর্ষ পদের দায়িত্বভার দেয় দল।

এই বিতর্কের আবহে তারুর অবশ্য নিজের ‘বিজেপি-ঘনিষ্ঠতা’র অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ দিনের সিদ্ধান্তকে মেনে নিলেও নিজের বক্তব্য পেশের কোনও সুযোগ তাঁকে দেওয়া হল না বলে আক্ষেপ করেছেন তিনি।

তবে গোটা বিষয়ে কংগ্রেসকে একহাত নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিজেপি। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলার পাশাপাশি কংগ্রেসকে ‘অসহিষ্ণু’ দলের আখ্যাও দিয়েছেন বিজেপি-র জাতীয় সম্পাদক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE