Advertisement
১১ মে ২০২৪

ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে মৃত মা, বাঁচল শিশু

রাখে হরি মারে কে! তিন বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন মা। ট্রেনের ধাক্কায় মায়ের মৃত্যু হলেও আশ্চর্যজনক ভাবে বেঁচে যায় বাচ্চাটি। বৃহস্পতিবার রাতে কোচবিহারের ঘোকসাডাঙায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম প্রণতি বর্মন (২৭)। শিশুটিকে চিকিত্সার জন্য ফালাকাটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিত্সা চলছে আহত শিশুর। ছবি: রাজকুমার মোদক।

হাসপাতালে চিকিত্সা চলছে আহত শিশুর। ছবি: রাজকুমার মোদক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৪ ১৫:৫২
Share: Save:

রাখে হরি মারে কে! তিন বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন মা। ট্রেনের ধাক্কায় মায়ের মৃত্যু হলেও আশ্চর্যজনক ভাবে বেঁচে যায় বাচ্চাটি। বৃহস্পতিবার রাতে কোচবিহারের ঘোকসাডাঙায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম প্রণতি বর্মন (২৭)। শিশুটিকে চিকিত্সার জন্য ফালাকাটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছিল ওই দিন রাতে?

পুলিশ সূত্রে খবর, তিন বছরের ছেলে অঙ্কুর বর্মনকে নিয়ে চলন্ত ট্রেন সামনে ঝাঁপ দেন তাঁর মা প্রণতিদেবী। ট্রেন ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মায়ের। কিন্তু বেঁচে যায় অঙ্কুর। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রেললাইনের ধার থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পেয়ে ছুটে গিয়ে তাঁরা দেখেন দু’টি লাইনের মাঝে মৃত মায়ের দেহ আঁকড়ে পড়ে রয়েছে সে। তবে তার গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল খুব সামন্যই। তাঁরা জানান, ওই শিশুটির কান্না শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই আরও দু’টি ট্রেন তাঁদের উপর দিয়ে চলে যায়। কিন্তু মায়ের দেহ আঁকড়ে শুয়ে থাকার জন্য কিছুই হয়নি বাচ্চাটির। তত্ক্ষণাত্ শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। প্রণতিদেবী দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের লোকজন। তাঁর কাকা রবীন্দ্র বর্মন বলেন, “কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। তবে বাচ্চাটা বেঁচে গিয়েছে সেটাই অনেক।”

মানসিক অবসাদের জেরেই প্রণতিদেবী আত্মঘাতী হয়েছেন কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE