Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

খারাপ আবহাওয়ায় আপাতত বন্ধ নিখোঁজ বিমানের উদ্ধারকাজ

আবহাওয়া খারাপ থাকায় আপাতত বন্ধ রইল এয়ার এশিয়ার নিঁখোজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ ও দেহ উদ্ধারের কাজ। কিন্তু বিমানটির মূল ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে কি না তা নিয়ে ইন্দোনেশীয় সন্ধানকারী দলের মধ্যেই দ্বিমত রয়েছে। পাশাপাশি মোট সাতটি দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তার মধ্যে দু’টি দেহ এ দিন ইন্দোনেশিয়ার সুবারবায়া-য় নিয়ে আসা হয়েছে।

ফিরল দু’টি দেহ। ইন্দোনেশিয়ার সুবারবায়ায়। ছবি: রয়টার্স

ফিরল দু’টি দেহ। ইন্দোনেশিয়ার সুবারবায়ায়। ছবি: রয়টার্স

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ ২০:৪৮
Share: Save:

আবহাওয়া খারাপ থাকায় আপাতত বন্ধ রইল এয়ার এশিয়ার নিঁখোজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ ও দেহ উদ্ধারের কাজ। কিন্তু বিমানটির মূল ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে কি না তা নিয়ে ইন্দোনেশীয় সন্ধানকারী দলের মধ্যেই দ্বিমত রয়েছে। পাশাপাশি মোট সাতটি দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তার মধ্যে দু’টি দেহ এ দিন ইন্দোনেশিয়ার সুবারবায়া-য় নিয়ে আসা হয়েছে।

২৮ ডিসেম্বর ১৫৫ জন যাত্রী ও সাত জন বিমানকর্মীকে নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সুবারবায়া বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে হারিয়ে যায় এয়ার এশিয়ার এয়ারবাস এ৩২০-২০০। সন্ধানে নেমে দু’দিন পরে ইন্দোনেশীয় সন্ধানকারী দল বিমানটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে পায়। মেলে কিছু দেহের সন্ধানও। এই সন্ধানের দায়িত্ব ছিল ‘ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি রিপাবলিক অফ ইন্দোনেশিয়া’র উপরে। হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন-সহ বেশ কিছু দেশ। তার পরে শুরু হয় উদ্ধারের কাজ। প্রথম দিকে ইন্দোনেশীয় নৌবাহিনী ৪০টি দেহ উদ্ধারের কথা বললেও পরে জানা যায় এখনও পর্যন্ত মোট সাতটি দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বুধবার থেকে এলাকার আবহাওয়ার অবনতি হয়। প্রবল স্রোতের মধ্যে উদ্ধার কাজ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে উদ্ধারকাজ আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রবল স্রোতে ধ্বংসাবশেষ ও দেহগুলি আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উদ্ধার হওয়া দেহগুলির মধ্যে চারটি পুরুষ এবং তিনটি নারী দেহ। একটি দেহ এক বিমানকর্মীর। দু’টি দেহকে এ দিন সুবারবায়-র জুয়ান্ডা বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। বাকি পাঁচটি দেহও এখানে আসবে। এই বিমানবন্দরেই নিখোঁজ বিমানযাত্রীদের আত্মীয়রা অপেক্ষা করছেন। দেহ শনাক্তকরণের জন্য এর মধ্যেই ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করা শুরু হয়েছে। বুধবার সুবারবায়তেই এই দুর্ঘটনায় মৃতদের জন্য স্মরণানুষ্ঠান হবে। সেখানে ইন্দোনেশীয় সরকারের প্রতিনিধিরা হাজির থাকবেন। শোক পালনের জন্য ইন্দোনেশিয়া জুড়ে বর্ষবরণের সব রকম উত্সব বাতিল করা হয়েছে।

বিমানটির মূল ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। সন্ধানকারী দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, সোনার যন্ত্রের সাহায্যে জাভা সাগরের তলদেশে বিমানের মূল ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে। কিন্তু সন্ধানকারী দলের অন্য সূত্র এই কথা স্বীকার করেনি।

কিন্তু কী হয়েছিল বিমানটির?

এ নিয়ে এখনও নানা মুনির নানা মত। তবে কয়েকটি নতুন তথ্য সামনে এসেছে। বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার আগে খারাপ আবহাওয়া এড়াতে ৩২ হাজার ফুট থেকে ৩৮ হাজার ফুট উচ্চতায় উঠতে চেয়েছিল। কিন্তু এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে ৩৪ হাজার ফুট উচ্চতার বেশি ওঠার অনুমতি দেননি। কিন্তু জানা গিয়েছে বিমানচালক সেই নির্দেশ মানেননি। সংযোগ ছিন্ন হওয়ার আগে এয়ার-ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের মনিটরে দেখা যাচ্ছে বিমানটির উচ্চতা ৩৬ হাজার ফুট এবং গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৫০০ মাইল ছিল। যদিও এয়ারবাস এ৩২০ প্রায় ৪২ হাজার ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় উড়তে সক্ষম। কিন্তু ঘণ্টায় ৫০০ মাইল গতিবেগ ৩৬ হাজার ফুটে ওড়ার পক্ষে যথেষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই সময়েই বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। পাশাপাশি বিমানটির নানা যন্ত্র বিকল হওয়ার তত্ত্বও রয়েছে। তবে ব্ল্যাকবক্স না-পাওয়া পর্যন্ত দু্র্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন সম্ভব নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

body recovered flight qz8501 airasia plane crash
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE