Advertisement
১৮ মে ২০২৪

জানালেন বিজয়ার শুভেচ্ছা, খাগড়াগড় নিয়ে মুখে কুলুপ মমতার

পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি মেনেই সম্পন্ন হল পশ্চিম মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি। বুধবার রাতেই তিনি ঝাড়গ্রামে পৌঁছন। বৃহস্পতিবার সকালে ঝাড়গ্রাম পুলিশ সুপারের অফিসে পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন ওই তিন জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের সভাধিপতি। ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা।

প্রশাসনিক বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ এবং মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র।  ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

প্রশাসনিক বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ এবং মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ১৭:৪৭
Share: Save:

পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি মেনেই সম্পন্ন হল পশ্চিম মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি। বুধবার রাতেই তিনি ঝাড়গ্রামে পৌঁছন। বৃহস্পতিবার সকালে ঝাড়গ্রাম পুলিশ সুপারের অফিসে পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন ওই তিন জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের সভাধিপতি। ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা। এ ছাড়াও মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র, আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত, তিন জেলার মাওবাদী প্রভাবিত ২৩টি ব্লকের বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ বিভিন্ন দফতরের সচিব ও পুলিশ আধিকারিকেরা।

বৈঠকে শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সকলকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে জঙ্গলমহলের ২৩টি ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। যদিও এ দিনও তিনি খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

বৈঠক শেষে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে বিজয়া ও ঈদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন সভায় উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী। সভাস্থলের নিরাপত্তা আঁটোসাটো করতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগে জঙ্গলমহলের মানুষের মনে ভয় ভয় ছিল। এখন দেখুন, সবাই কত হাসছে। এই সুস্থ পরিবেশটাই আমরা চাই। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের একসঙ্গে থাকাটাই বড় ব্যাপার।” তিনি বলেন, “কিছু দুষ্টচক্রের মানুষ বিভেদ ঘটানোর চেষ্টা করছে। তারা সাময়িক ভাবে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছে। আমরা বছরের ৩৬৫ দিনই একটা পরিবারের মতো একসঙ্গে থাকি।” সভায় উপস্থিত পুজো কমিটি ও ক্লাবের সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা সহযোগিতা করলে আমরা মিলেমিশে থাকতে পারব।” তাঁর কথায়: “বাংলার মাটিতে দাঙ্গা করতে দেব না। আমি জঙ্গলমহলকে ভালবাসি। আমি যেমন দার্জিলিঙে যাই, তেমন এখানেও আসি।” তাঁর মন্তব্য: “শিল্পীর গৌরব সংস্কৃতির গৌরব। আর সংস্কৃতির গৌরবই হল সংহতির গৌরব। আজ জঙ্গলমহলের ৩০ হাজার ছেলেমেয়ে ফুটবল খেলছে।” জঙ্গলমহলে ক্যারাটে ও কবাডি খেলা চালু করার কথাও বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পুলিশকে বলব, স্থানীয় মানুষের চাহিদা নিয়ে ক্লাবগুলোর সঙ্গে কথা বলতে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

khagragarh jhargram
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE