Advertisement
E-Paper

প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীরা টেট-এ বসতে পারবেন কি, আলোচনা করে সিদ্ধান্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৪ ১৯:৩৮

লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট) পিছিয়ে গিয়েছে। যে দিনই ওই পরীক্ষা হোক না কেন, প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীরা তাতে বসতে পারবেন কি না, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশনের (এনসিটিই) সঙ্গে আলোচনা করে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে বৃহস্পতিবার মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট। টেট হওয়ার কথা ছিল আগামী রবিবার, ৩০ মার্চ। রাজ্য সরকারের নির্দেশে বুধবারই পরীক্ষাটি পিছোনোর কথা ঘোষণা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ওই পরীক্ষা হবে ভোট মিটে গেলে।

এনসিটিই-র নিয়মে এ বছর ৩১ মার্চের পরে ডিএলএড প্রশিক্ষণহীন কোনও প্রার্থী টেট দিতে বা স্কুল শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হতে পারবেন না। ৩০ মার্চ পরীক্ষা হলেও ওই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ সম্ভব হবে না, তাই রবিবারের টেট বন্ধের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সোমবার বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার রায় দিয়ে জানান, রবিবারের টেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ নেই। মঙ্গলবার আবেদনকারীরা ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান।

বৃহস্পতিবার ছিল ডিভিশন বেঞ্চের রায় ঘোষণার দিন। বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদই রবিবারের পরীক্ষাটি নেবে না বলে জানিয়েছে। তাই টেট বন্ধের আর্জি আর বিবেচনা করা হচ্ছে না। সেই সঙ্গেই ডিভিশন বেঞ্চ এনসিটিই-র সঙ্গে আলোচনা করে প্রশিক্ষণহীনদের পরীক্ষায় বসার বিষয়টি চূড়ান্ত করতে বলে।

প্রশিক্ষণহীনদের পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর আশা, ত্রিপুরা, ওড়িশায় যখন ২০১৫ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে রাজ্যের জন্যও প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগের জন্য সময়সীমা বাড়ানো হবে।

tet kolkata high court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy