বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবকে ঘিরে হইচই বাধল বিধানসভায়। বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস, দুই বিরোধী দলই সোমবার বিধানসভার অধিবেশনে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল রাজ্য সরকারের সার্বিক ব্যর্থতার বিরুদ্ধে। কিন্তু, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ‘রুলিং’ দিয়ে প্রধান বিরোধীদল বামফ্রন্টের আনা অনাস্থা প্রস্তাবকেই গ্রহণ করেছেন। স্বভাবতই এতে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস।
বিধানসভার এই শীতকালীন অধিবেশনে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে বলে অনেক আগে থেকেই ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস। মঙ্গলবার অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসার পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু, বামফ্রন্টের পরিষদীয় দল পূর্ব ঘোষণা না করেই শুক্রবার শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনের কাজ শেষে স্পিকারের সচিবালয়ের নিয়ম মেনে এক লাইনের অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়ে দেয়। বামেরা তাদের আগে অনাস্থা এনে ফেলছে দেখে এর পরে তৎপর হয় কংগ্রেস। এবং সেইমতো এ দিন সকালে অধিবেশন শুরুর আগে তাদের প্রস্তাবের খসড়া জমা দেয়। অধিবেশন শুরুর পরে স্পিকার বিমানবাবু অবশ্য বামেদের প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন। আপাতত ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে কংগ্রেসের প্রস্তাব ভাগ্য। বামেদের অনাস্থা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা কবে হবে তার দিন অবশ্য এখনও ঘোষণা করা হয়নি। বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটির পরবর্তী বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
স্পিকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে এ দিন বিধানসভার কক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেছেন কংগ্রেসের বিধায়কেরা। যদিও বামেদের অনাস্থা প্রস্তাবে অংশ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার সুযোগ কংগ্রেস বিধায়কদের আছে। কিন্তু, সে সুযোগ তাঁরা নেবেন কি না এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করেননি কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতৃত্ব। বামেরা যেমন আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিল, কোনও কারণে কংগ্রেসের প্রস্তাব গৃহীত হলে সেই আলোচনায় অংশ নিয়ে তাঁদের বিধায়কেরা সরকারকে তুলোধোনা করবেন। বিজেপি-র একমাত্র বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বামেদের আনা অনাস্থার উপরে আলোচনায় তিনি অংশ নেবেন। তবে ভোট দেবেন কি না সেটা পরের প্রশ্ন। তৃণমূল শিবিরের একাংশ মনে করছে, অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বাম এবং কংগ্রেসের প্রতিযোগিতায় আখেরে বিধানসভার মধ্যে বিরোধী শিবিরে বিভাজন তৈরি হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy