উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সুপারের পর এ বার ওই কলেজেরই অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করা হল। সোমবার অনুপ রায়কে সরিয়ে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ করা হয় সমীর ঘোষ রায়কে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “অধ্যক্ষকে সরানোর কথা শুনেছি। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।”
এনসেফ্যালাইটিস পরিস্থিতি নিয়ে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে গত ২৫ জুলাই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের তিন স্বাস্থ্যকর্তাকে সাসপেন্ডের কথা ঘোষণা করেন। দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের পাশাপাশি ওই দিন সাসপেন্ড করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সুপার অমরেন্দ্রনাথ সরকারকে। তাঁর জায়গায় নিয়োগ করা হয় মেডিক্যাল কলেজেরই পূর্বতন সুপার সব্যসাচী দাসকে। স্বাস্থ্য দফতরের একাংশের বক্তব্য, সরকারের ওই পদক্ষেপের পরও পরিষেবার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এখনও তেমন একটা পাল্টায়নি। প্রতি দিনই জাপানি এনসেফ্যালাইটিস এবং এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ নিয়ে মেডিক্যাল কলেজে রোগী ভর্তি হচ্ছে। তবে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে গড়িমসিরও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সুপার-বদলের পর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অনুপ রায়কে বাড়তি কোনও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি বলে ওই অংশের দাবি। তাঁদের মতে, কলেজের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যৌথ উদ্যোগে এনসেফ্যালাইটিস সংক্রান্ত সচেতনতামূলক পদক্ষেপ করার ক্ষেত্রেও অধ্যক্ষের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য নয়। পরিস্থিতি সামলাতে তাঁর জায়গায় মেডিক্যাল কলেজের পূর্বতন সুপার সমীর ঘোষ রায়কে নিয়ে আসা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
অধ্যক্ষ-বদল নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে যা বলার স্বাস্থ্য-অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা বলবেন।” রাজ্যের স্বাস্থ্য-অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দু’জনের কেউই এ দিন বিকেল পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy