Advertisement
Back to
Abhishek Banerjee

রাজবংশীদের সঙ্গে বৈঠক, তার পর রোড-শো, শাহি ‘কারেন্টেই’ মোদী-শাহকে বিঁধলেন তৃণমূল সেনাপতি

কোচবিহারে সভা করে গিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। পাল্টা মমতা এবং অভিষেকও একাধিক কর্মসূচি করেছেন। শনিবার রাজবংশী সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেক।

Abhishek Banerjee’s road show at Cooch Behar

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ২১:০০
Share: Save:

দু’দিন আগে বালুরঘাটে সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে সভা করতে এসেছিলেন অমিত শাহ। সেই সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে যে ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শনিবার সেই ভাষাতেই শাহ এবং নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধলেন তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বালুরঘাটের সভা থেকে শাহ বলেছিলেন, ‘‘আপনারা এমন ভাবে পদ্মফুলের পাশের বোতামটা টিপবেন যাতে মমতা দিদির বিদ্যুতের শক লাগে।’’ শনিবার কোচবিহারের তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বসুনিয়ার সমর্থনে রোড-শো করেন অভিষেক। সিতাইয়ে রোড-শো শেষে তিনি বলেন, ‘‘১৯ এপ্রিল এমন ভাবে জোড়াফুলের পাশের বোতামটা টিপবেন, যাতে দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের চেয়ারে কারেন্টের শক লাগে।’’

কোচবিহার আসন গত লোকসভা নির্বাচনে জিতেছিল বিজেপি। বিদায়ী সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককেই এ বার প্রার্থী করেছে পদ্মশিবির। অভিষেক বলেন, ‘‘এখানকার প্রার্থী আপনাদের ভোট নিয়ে গিয়ে দিল্লিতে প্যালেস বানিয়েছেন। আর মানুষের দিকে ফিরে তাকাননি। পাঁচ বছর উন্নয়নের কথা বলেননি। আবার ভোট চাইতে এসেছেন। এক দিকে বিজেপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। অন্য দিকে আমাদের প্রার্থী শিক্ষিত, মার্জিত, ভদ্র—আপনারা বিবেচনা করে ভোট দিন।’’ জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক। শনিবার অভিষেকের রোড-শোয়ে ভিড় হয়েছিল চোখে পড়ার মতো।

নিশীথের সমর্থনে সভা করে গিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। পাল্টা মমতা এবং অভিষেকও একাধিক কর্মসূচি করেছেন দিনহাটা-সহ বিভিন্ন এলাকায়। এই লোকসভায় রাজবংশী ভোট নির্ণায়ক সংখ্যক। শনিবার রাজবংশী সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন অভিষেক। সমাজমাধ্যমে সেই ছবি পোস্ট করে তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে, ‘‘বিগত কিছু নির্বাচনে বাংলা-বিরোধীরা রাজবংশীদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে, তাঁদের ভুল বোঝাতে সমর্থ হন এবং ইভিএমে তাঁদের সমর্থনও হাসিল করে নেন। তার পরও এই মানুষগুলির উন্নয়নের স্বার্থে ওই বাংলা-বিরোধী নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কোনও কাজ করেননি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE