(বাঁ দিকে) শুভেন্দু অধিকারী। অধীর রঞ্জন চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
শেষ লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা ছিলেন অধীর চৌধুরী। তবে বিভিন্ন সংসদীয় কার্যক্রমে প্রায় বিরোধী দলনেতারই মর্যাদা পেয়েছেন বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা হিসাবে। বুধবার অধীরের কেন্দ্র বহরমপুরে সভা করতে এসে তা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় অধীরের গলায় অবশ্য কোনও ঝাঁঝ শোনা যায়নি।
বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজের মোড়ে বুধবার বিজেপির সভা ছিল। ওই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী পেশায় চিকিৎসক নির্মলচন্দ্র সাহা। সেখানেই শুভেন্দু বলেন, ‘‘অধীরবাবুর পিছনে সিআরপিফ এবং সামনে যে পুলিশ এসকর্ট গাড়ি নিয়ে ঘোরেন, কার দয়ায় জানেন তো? আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দয়ায়। কংগ্রেসের কাছে ১০ শতাংশ সাংসদ ছিল না। বিরোধী দলের মর্যাদা কংগ্রেসের পাওয়ার কথা নয়।’’ এর পরেই নিজের প্রসঙ্গ তোলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে ৩০ জন বিধায়ক লাগে বিরোধী দলনেতার স্বীকৃতি পেতে। যেমন আমাদের ৭৭ জন বিধানসভায় ছিল। তাই আমি বিরোধী দলনেতা। আমাকে কেউ দয়া করে দেয়নি, পার্টি মনোনীত করেছে। সংবিধান আমাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘অধীরবাবু যে বিরোধী দলনেতার তকমা নিয়ে ঘোরেন তার নম্বর আছে কংগ্রেসের? আমাদের মোদীজি রাজধর্ম পালন করেন। তিনি মনে করেন সংসদীয় গণতন্ত্রে যেমন শাসকের প্রয়োজন আছে, তেমনই প্রয়োজনে আছে বিরোধীদের। অধীরবাবুর সব ফটফটানি ভারতে বিজেপি আছে বলে। এ বার সব ফটফটানি বন্ধ হয়ে যাবে।’’ নন্দীগ্রামের বিধায়কের কথায়, ‘‘দল হিসাবে কংগ্রেসের কথা না-ই বা বললাম। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলে যাচ্ছি, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস খাতা খুলতে পারবে না। বিধানসভায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের আসন দেশে ২০-র নীচে থাকবে।’’
শুভেন্দুর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অধীর বলেন, ‘‘নিরাপত্তা দেওয়া হয় আমার ব্যক্তিগত স্টেটাস অনুযায়ী। আর বিরোধী দলনেতার ব্যাপারটা সংসদীয়।’’ অধীর চৌধুরীকে শুভেন্দুর আক্রমণ ও অধীর চৌধুরীর পাল্টা প্রতিক্রিয়া নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, ‘‘আমরা দীর্ঘদিন ধরেই বলছি রাজ্যের কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাত করে চলছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিজেপির হাতে তামাক খাচ্ছেন। বিজেপির কথাতে আজকে আমাদের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy