মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রা। ছবি: সমাজমাধ্যম।
বিরোধীদের ‘ওয়াশিং মেশিন’-এর তত্ত্বকে ফের এক বার উস্কে দিয়ে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রাকে দুর্নীতি মামলায় ক্লিন চিট দিল মুম্বই পুলিশ। ২৫ হাজার কোটি টাকার মহারাষ্ট্র সমবায় ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারিতে সুনেত্রা ও অজিতের সঙ্গে যুক্ত লেনদেনে কোনও দুর্নীতির প্রমাণ মেলেনি বলে তদন্ত শেষের রিপোর্টে জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ।
শরদ পওয়ারের এনসিপি ভেঙে মহারাষ্ট্রে বিজেপি ও শিবসেনার একনাথ শিন্দে গোষ্ঠীর জোট সরকারে যোগ দিয়েছেন তাঁর ভাইপো অজিত। চলতি লোকসভা ভোটে পওয়ার পরিবারের গড় হিসেবে পরিচিত বারামতী কেন্দ্রে সুনেত্রার সঙ্গে লড়াই শরদের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলের। পওয়ার পরিবারের দুই সদস্যের এই লড়াইয়ের ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বারামতীর দিকে নজর রয়েছে মহারাষ্ট্র ও দেশের রাজনৈতিক শিবিরের।
বিজেপি-শিন্দের সঙ্গে জোটে থাকা অজিতের স্ত্রীকে মুম্বই পুলিশ ক্লিন চিট দেওয়ায় ফের সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, এ ক্ষেত্রেও বিজেপির সঙ্গে জোট করার পরেই চালু হয়েছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের ‘ওয়াশিং মেশিন’। যার ফলে দুর্নীতি মামলায় নিষ্কৃতি পেয়েছেন অজিত-সুনেত্রা। এনসিপি-র শরদ পওয়ার গোষ্ঠীর নেতা আনন্দ দুবের মতে, “২৫ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গোটা পওয়ার পরিবারকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলেছিলেন তিনি। এখন স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ওয়াশিং মেশিনে ধুয়ে নেতাদের দুর্নীতিমুক্ত হয়ে যাওয়ার তত্ত্ব একেবারে সত্য। যে সব নেতার বিরুদ্ধে বিজেপি অভিযোগ তুলেছে তাঁরাই পক্ষ বদলের পরে ক্লিন চিট পেয়েছেন।’’
দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল ও ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তাঁদের কথা উল্লেখ করে দুবের বক্তব্য, ‘‘বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে কিন্তু মামলা চলবে। এমনকি তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী হলেও তাঁদের গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে হাত মেলালে তাঁদের মন্ত্রী করা হবে, উপমুখ্যমন্ত্রী করা হবে বা লোকসভার টিকিট দেওয়া হবে। আমরা এই বিষয় নিয়ে সরব হলে বিজেপি বিরক্ত হয়। ভয়ও পায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy