আরাবুল ইসলাম। —ফাইল চিত্র।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ধৃত তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। তৃণমূলের ‘তাজা নেতা’র অভিযোগ, তাঁকে একটি মামলায় গ্রেফতারের পরেও কিছু দিন আগে আরও দু’টি মামলায় যুক্ত করেছে পুলিশ। লোকসভা ভোট সামনেই। তৃণমূল নেতার দাবি, তাঁকে ভোটের আগে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।
মঙ্গলবার আরাবুল তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আদালতে আরাবুল পুলিশের বিরুদ্ধে ‘অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগ এনেছেন। আরও দু’টি মামলা দিয়ে পুলিশ আদতে তাঁকে ফাঁসাতে চাইছে। আরাবুলের আবেদন শোনার পর মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয় আরাবুলকে। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগের সঙ্গে রয়েছে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দলবদ্ধ ভাবে আক্রমণের অভিযোগও। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ককে লালবাজারে আনা হয়।
এর আগে জামিন চেয়ে বারুইপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে যান আরাবুল। সেখানে তিনি জানান, দীর্ঘ দিন ধরে তিনি বাড়িতে চিকিৎসাধীন। তাঁর আইনজীবী জানান, আরাবুল অসুস্থ। তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়, তদন্তের প্রয়োজনে আরাবুলকে তাদের নিজেদের হেফাজতে নিতে হবে।
পঞ্চায়েত ভোটের সময় এবং পরে নিরাপত্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন আরাবুল। আশঙ্কা করেন, তিনি খুন হয়ে যেতে পারেন। এর পরে আরাবুল এবং তাঁর ছেলে হাকিমুল মোল্লার নিরাপত্তা বৃদ্ধি হয়। অন্য দিকে, ভাঙড়ে যে ঘটনায় আরাবুলকে ধরা হয়েছে, তাতে প্রাণ গিয়েছে তৃণমূল কর্মী রাজু নস্কর, রশিদ মোল্লা এবং আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy