ভোটের প্রচারে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: তাপস ঘোষ।
তারকা হলেও তাঁরা ভোটপ্রার্থী। তাই সাজগোজের আর সময় নেই। একজনের দাবি, বছর দশেক আগে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সময় থেকেই রূপটানে ইতি টেনেছেন। আর অন্য জন, প্রথম বারের জন্য ভোট লড়াইয়ে নেমে জানালেন, আগামী দু’মাস ত্বক-চর্চা থেকে দূরেই থাকবেন।
চৈত্রের সকাল থেকে পারদ চড়ছে। আর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে দুই তারকা প্রার্থী— বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূলের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারও জমে উঠছে। দু’জনেই বিধানসভা ভিত্তিক প্রচার করছেন। কোনও কোনও দিন সকাল পেরিয়ে দুপুরেও কর্মসূচি গড়িয়ে যাচ্ছে দু’জনের।
বিজেপি প্রার্থী রুপোলি পর্দা ছেড়েছেন বছর দশেক হল। এর পর থেকে তিনি রাজনীতির আঙিনায়। বাস্তবের লড়াই কঠিন মানছেন ‘রিল’ ছেড়ে ‘রিয়েলে’ আসা লকেট। তিনি বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের জন্যই রাজনীতির এই লড়াই। সর্বক্ষণ বাস্তবের মাটিতে থাকার জন্য বছর দশেক আগে থেকেই সিনেমা থেকে দূরে আছি। সেই সময় থেকে মেকআপ বন্ধ।’’
লকেটের মতো ‘বাস্তব’-এর মাটিতে নেমেছেন রচনাও। তবে, তিনি এখনও অভিনয়ে আছেন। পাশাপাশি, একটি জনপ্রিয় টিভি শো সঞ্চালনার দায়িত্বও সামলাচ্ছেন। রচনা বলেন, ‘‘হুগলিতে ভোটের আগে দু’মাস প্রচারের সময় পেয়েছি। মানুষের মাঝে এসে ভালবাসা চাইছি। তাই এই সময়টাতে ত্বক-চর্চা না-ই বা করলাম!’’
দাবদাহ থেকে বাঁচতে লকেট ও রচনার মতো তারকারা কী করছেন, এই কৌতূহল অনেকেরই। টোটোতে বসে শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে লকেট জানান, সকালে মুড়ি খেয়ে বেরোচ্ছেন। সঙ্গে রাখছেন মুড়ি, জল ও বাতাসা। প্রচারের মাঝে মুড়ি-বাতাসা চিবোচ্ছেন। আর বেশি করে জল খাচ্ছেন। সকালের জল দেওয়া পান্তা-ভাত খাচ্ছেন রাতে। লকেট বলেন, ‘‘কর্মীদেরকেও বলছি, বারেবারে জল খেতে। কারণ, ওঁরাই (কর্মীরা) আমার সম্পদ। ওঁরা অসুস্থ হলে চলবে না।’’
লকেট হেঁটে প্রচার শুরু করলেও রচনা আপাতত হুডখোলা গাড়িতে চেপে প্রচার করছেন। গ্রামে-গঞ্জে তাঁর গাড়ি ছেঁকে ধরছেন সাধারণ মানুষ। অনেক সময়েই ভোটারদের আবদার মেটাতে ভিড়ে নামতে হচ্ছে। প্রিয় ‘দিদি’র (রচনা) হাসিতে দাবদাহ ভুলছেন ‘ভক্তেরা’। তবে, গরমে রচনা নিজেকে কী ভাবে চাঙ্গা রাখছেন?
তৃণমূল প্রার্থীর জবাব, ‘‘হালকা খাচ্ছি। প্রচারের মাঝে ডাব পেলে খাচ্ছি। জল বেশি করে খাচ্ছি। আর ভরসা ফল ও সেদ্ধ খাবার। এত মানুষের ভালবাসায় মন ভাল থাকছে। তাই শরীরও ঠিক থাকছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy