প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
বিচারপতি থেকে হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। পদের সঙ্গে ভার লাঘব হয়েছে পোশাকেরও। আগে দিবারাতের সঙ্গী ছিল কালো কোট। এখন তিনি দুধসাদা ফিনফিনে সুতির পায়জামা-পাঞ্জাবি পরেন। যদিও প্রচারে বেরোলে সাদা রং মুহূর্তে চাপা পড়ে কাঁধে-ঘাড়ে-গলায় উপর্যুপরি জমা হতে থাকা গেরুয়া উড়নিতে। মুখে বিজেপির ‘রামধ্বনি’ ঘন ঘন শোনা না যাক, প্রাক্তন বিচারপতি মন্দিরে যান কপালে লেপে দেওয়া গেরুয়া সিঁদুর, মাথায় কমলা গাঁদাফুলের পাপড়ি নিয়ে।
তাঁর প্রচারে নীতি-নব খেলা। কখনও আনত হয়ে পুজো দেন। কখনও শার্টের বোতাম খুলে, কলার তুলে, হাতা গুটিয়ে মুখোমুখি হন সংবাদমাধ্যমের। মুখে বেপরোয়া ভাব এনে বলেন, ‘‘এফআইআর হলে দেখে নেব!’’ তবে মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমকক্ষ নেতা ছাড়া বড় একটা আক্রমণ শানান না। সম্প্রতি অবশ্য সে কাজ করতে গিয়েই একটু ফ্যাসাদে পড়েছেন। প্রচারে বাংলার মু্খ্যমন্ত্রীর ‘দাম’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন বিচারপতি। আপাতত নির্বাচন কমিশন তাঁর মান নিয়ে টানাটানি করছে বলে অভিযোগ তাঁর। গিয়েছেন নিজের ‘পূর্বাশ্রম’ আদালতে।
এককালে তাঁকে দেখলে ভগবান জ্ঞানে হাতজোড় করতেন চাকরিপ্রার্থীরা। এখন তাঁর প্রচার মঞ্চের অদূরে হাত ওঠে প্রতিবাদের। ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের ঘটনায় শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর আঁতাঁতকেই দায়ী করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তবে তাঁর ‘লাগামহীন’ মুখের ভক্তও নেহাত কম নয়। এজলাস হোক বা রাজনৈতিক প্রচারের মঞ্চ— প্রাক্তন বিচারপতির দর্শকাসন সব সময়েই উপচে পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy