Advertisement
Back to
Lok Sabha Election 2024

রাজীব কুমারকে হুঁশিয়ারি রাজীব কুমারের! বাংলার ভোটে অশান্তি হলে দায়ী থাকবে রাজ্য পুলিশই

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, রাজ্যের সব রিপোর্ট তাঁদের কাছে আছে। বাংলার নির্বাচনে পেশিশক্তি এবং অর্থশক্তিকে কাজে লাগানো হলে তা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ( বাঁ দিকে)। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। ফাইল চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ( বাঁ দিকে)। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪ ১৩:১৩
Share: Save:

পশ্চিমবঙ্গে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করাতে হবে রাজ্য পুলিশকেই। ভোটের সময় যদি কোথাও গন্ডগোল হয়, তার দায় বর্তাবে ডিজিপির উপরই। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রবিবারই এ রাজ্যে এসেছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বাধীন ফুল বেঞ্চ।

মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, ভোটে হিংসা নিয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেওয়া হবে। কোনও ভাবেই হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। তার পরই তিনি হুঁশিয়ারি দেন, রাজ্যে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোটের দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য পুলিশকেই। কোনও গন্ডগোল হলে দায়ী থাকবেন ডিজিপি। ঘটনাচক্রে, রাজ্য পুলিশের ডিজির নামও রাজীব কুমার।

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, রাজ্যের সব রিপোর্ট তাঁদের কাছে আছে। বাংলার নির্বাচনে পেশিশক্তি এবং অর্থশক্তিকে কাজে লাগানো হলে তা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। তাঁর কথায়, “এ বিষয়ে মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকেও জানিয়েছি। প্রশাসনের কর্তারাও কথা দিয়েছেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভোট করতে বদ্ধপরিকর।”

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আরও জানিয়েছেন, বাংলার ভোট নিয়ে সর্বপ্রথমে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির সঙ্গে কথা হয়েছে। তার পরে মুখ্যসচিব, ডিজি, ডিআইজি, পুলিশ সুপার, জেলাশাসকদের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। তিনি আরও জানান, আমলাতন্ত্র নিরপেক্ষ ভাবে ভোট করে না, এই মর্মে অভিযোগ জমা পড়েছে তাঁদের কাছে। এই সূত্রেই কমিশনের তরফে জানানো হয়, ভোট পূর্ববর্তী এবং ভোট পরবর্তী হিংসা রোখার চেষ্টা করবে তারা। এর পরই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হুঁশিয়ারি দেন, জেলা প্রশাসন যদি শক্ত হাতে হিংসা দমন না করে, তা হলে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে। হিংসা দমনে ব্যর্থ হলে রাজ্য পুলিশকেই দায়ী করা হবে।

পশ্চিমবঙ্গে কেন এত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে? এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে রাজীব বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী সব রাজ্যে গিয়েছে। তেমন পশ্চিমবঙ্গেও এসেছে। সেই বাহিনীকে কী ভাবে ব্যবহার করা হবে, তা ঠিক করবে রাজ্য প্রশাসন এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2024 West Bengal CEC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE