—প্রতীকী চিত্র।
দৃশ্যদূষণ এখানে বারো মাস। দু’পা হাঁটলে ব্যানার, ফেস্টুন, হোর্ডিং নজরে আসে।
দমদমের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের পথঘাট, বাড়ির দেওয়াল এখন প্রচারের রঙে সাজছে। লোকসভা নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলি প্রচার শুরু করে দিয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোট ঘোষণার পরে কিছু ব্যানার ও ফেস্টুন খোলা হলেও পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, আবার লাগানো হচ্ছে সেগুলি। ভোটের পরেও সেই নির্বাচনী ব্যানার, দেওয়াল লিখন— সবই থেকে যায়।
প্রশাসন মাঝেমধ্যে পদক্ষেপ করার কথা বললেও তা যে পর্যাপ্ত নয়, সে কথা জানে সব পক্ষই। তেমনই মত বাসিন্দা গৌরব দাসের। তাঁর কথায়, ‘‘দমদম স্টেশন থেকে নাগেরবাজার মোড়, যশোর রোড-সহ গোটা দমদম জুড়ে সারা বছর রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের হোর্ডিং, ব্যানার, ফেস্টুনের ছড়াছড়ি। ভোট আসে, ভোট যায়। কিন্তু দৃশ্যদূষণ নিয়ে কারও হেলদোল নেই। রাজনৈতিক দলগুলি কি এ নিয়ে আদৌ দিশা দেখাবে?
পথ যে কেউ দেখাননি, তা নয়। দক্ষিণ দমদম পুরসভার নির্বাচনের পরে জয়ী কয়েক জন পুরপ্রতিনিধির নেতৃত্বে দ্রুত প্রচার-সামগ্রী সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। যদিও তেমন তৎপরতা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য, মনে করছেন এলাকাবাসী। বাসিন্দা কৌশিক রায়ের পরামর্শ, ‘‘এখন তো তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। রাজনৈতিক দলগুলিও ডিজিটাল মাধ্যমকে প্রচারে ব্যবহার করছে। ফেস্টুন, ব্যানার, দেওয়াল লিখনের প্রচলন কমিয়ে বিকল্প ভাবুক তারা।’’ দমদম পুরসভার উপ-প্রধান বরুণ নট্টের মতে, প্রচারের ক্ষেত্রে এখনও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের থেকে দেওয়াল লিখন, পোস্টার, ব্যানার বেশি গ্রহণযোগ্য। তবে ডিজিটাল মাধ্যমের ব্যবহারও বাড়ছে।’’
দক্ষিণ দমদম পুরসভার তৃণমূলের এক পুরপ্রতিনিধি সুকান্ত সেনশর্মা বলেন, ‘‘আগেও নির্বাচন মিটলে প্রচার সামগ্রী সরানো, দেওয়াল চুনকাম করা হয়েছে। এ বারও ব্যতিক্রম হবে না। আবার এক বিজেপি নেতা গৌতম সাহা মণ্ডলের দাবি, ফল ঘোষণার আগেই তাঁরা দেওয়াল লিখন মুছে ফেলবেন, প্রচার বার্তা সরিয়ে দেবেন। একই দাবি করেছেন বাম নেতা-কর্মীরা।
বাসিন্দাদের দাবি, প্রতি বারই রাজনৈতিক দলগুলি ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দেয়, নির্বাচন মিটলেই প্রচার সামগ্রী দ্রুত সরানো হবে। আদৌ তা বাস্তবায়িত হয় না। তাই প্রতিশ্রুতি আর মন ভেজায় না তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy