কংগ্রেসের সাংবাদিক সম্মেলন। নিজস্ব চিত্র।
নিজেকে উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করতে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন আজহার মল্লিক। কিন্তু ওই সম্মেলনে এল না ফরওয়ার্ড ব্লক। তবে সিপিএম হাজির ছিল।
উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রভাব খুব একটা কম নয়। শ্যামপুর, উলুবেড়িয়া দক্ষিণ, উলুবেড়িয়া পূর্ব এই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে দলের শক্তি যথেষ্ঠ। ফরওয়ার্ড ব্লকের গরহাজিরা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আজহার বলেন, ‘‘দলের জেলা সভাপতিকে আমি এই সাংবাদিক সম্মেলনে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তবে তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আসবেন না বলে জানিয়েছেন। তবে ফরওয়ার্ড ব্লককে নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। তারাও বাম-কংগ্রেস জোটে সামিল হবে।’’
ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সভাপতি কুতুবুদ্দিন পাল্টা বলেন, ‘‘কে বলেছে আমি অসুস্থ? আমাকে কংগ্রেস প্রার্থী সাংবাদিক সম্মেলনে আসার জন্য ফোন করেছিলেন ঠিকই, আমি তাঁকে বলেছিলাম কংগ্রেসের সাথে আমাদের রাজ্য পর্যায়ে সমঝোতার বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। ফলে এ ব্যাপারে আমাদের দলের তরফ থেকে কোনও নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কিছু করতে পারব না।’’
আইএসএফ উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের অধীন বাইনান পঞ্চায়েতে সিপিএম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে পঞ্চায়েত চালাচ্ছে। আবার তেহট্ট কাঁটাবেড়িয়া ২ পঞ্চায়েত চলছে আইএসএফ এবং কংগ্রেসের মধ্যে জোট করে। এ দিকে, উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে আইএসএফ আলাদা করে প্রার্থী দিয়েছে। এই অবস্থায় ওই দু’টি পঞ্চায়েতে তাঁদের প্রচার কৌশল কী হবে, তা জানতে চাওয়া হলে আজহার বলেন, ‘‘আইএসএফ তাদের প্রার্থীর হয়েই তো প্রচার করবে। তবে এর জন্য ওই দু’টি পঞ্চায়েতে জোটের কোনও ক্ষতি হবে না।’’
এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে আজহার ছাড়াও হাজির ছিলেন সিপিএম নেতা সাবিরুদ্দিন মোল্লা, দলের মহিলা নেত্রী অপর্ণা পুরকায়স্থ প্রমুখ। তাঁরা জানান, এই নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকেই প্রধান করা হবে।
বাগনানের বিধায়ক তথা হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল সভাপতি অরুণাভ সেন বলেন, ‘‘কংগ্রেস আর সিপিএমের গলায় বিজেপির সুর শোনা যাচ্ছে। আসলে বিজেপির দোসর হিসাবেই মাঠে নেমেছে এই দু’টি দল। আমাদের দল ও সরকার মানুষের পাশে থাকে। এটাই
আমাদের পুঁজি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy