কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। ছবি: পিটিআই।
প্রাপ্য টাকা না দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিরোধী রাজ্যগুলিকে কেন্দ্র আর্থিক ভাবে ধ্বংস করে দিতে চাইছে বলে আজ বাজেট সংক্রান্ত বিতর্কে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, ‘‘গরিব মানুষের রোজগারের জন্য যে একশো দিনের কাজের প্রকল্প ছিল, সেই প্রকল্পে বরাদ্দ কমিয়ে আসলে গরিব মানুষকে ভাতে মারতে চাইছে এ সরকার।’’ অন্য দিকে কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরের কথায়, ‘‘এই সরকারের স্লোগান হল, সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। যা ভুয়ো প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই নয়।’’
আজ বিপক্ষ শিবিরের প্রথম বক্তা ছিলেন তারুর। তিনি বলেন, ‘‘এই সরকার সকলের বিকাশের কথা বলে, কিন্তু আমাদের প্রশ্ন, এই সরকার ‘কিসকা সাথ, কিসকা বিকাশ’ করেছে?’’ শশীর কথায়, ‘‘এই সরকারের যুক্তি, মাথা পিছু জিডিপি বেড়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন, কাদের বেড়েছে? যাঁরা পিরামিডের চূড়ায় আছেন, তাঁদের বেড়েছে। কিন্তু তাতে আম আদমির সত্যিকারের পরিস্থিতির ছবি ফুটে ওঠে না।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এই মুহূর্তে যদি আদানি ও অম্বানী কক্ষে প্রবেশ করেন, তা হলে উপস্থিত সাংসদের মাথা পিছু আয় বেড়ে যাবে। কিন্তু তাঁরা কক্ষ থেকে বেরিয়ে গেলেই আগের অবস্থা ফিরে আসবে।’’ সরকার সম্প্রতি দাবি করেছে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার উপরে উঠে গিয়েছে। তারুরের প্রশ্ন, ‘‘সব ধরনের সরকারি সমীক্ষা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে ওই তথ্য এল কোথা থেকে?’’
মোদী সরকার যে আসলে গরিব-বিরোধী সেই বিষয়টি তুলে ধরেন সৌগত রায় বলেন, ‘‘একশো দিনের কাজে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে যাঁরা গরিব, তাঁদের হাতে কোনও অর্থ নেই।’’ তৃণমূলেরই আর এক সাংসদ অপরূপা পোদ্দার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরব হওয়ার পাশাপাশি বিজেপি সরকার মহিলা বিরোধী, এই অভিযোগেও সরব হন। অন্য দিকে, ওই বাজেট বিতর্কেই বাংলার বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে হওয়া দুর্নীতি নিয়ে সরব হন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, রাজু বিস্তরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy