বঙ্গ রাজনীতিতে অনেক দিন পরে ফিরল ‘তরমুজ’। শুধু উপমায় নয়। দিল্লিবাড়ির লড়াইয়ে বাংলার ময়দানে ক্ষেতে ফলা তরমুজের হাত বদল শুধু হল না, তা নিয়ে পুরনো স্মৃতি যেমন ফিরল, এল নতুন ব্যাখ্যাও।
আরও পড়ুন:
বুধবার সকালে ভাঙড়ের পোলের হাটে প্রচারে বেরিয়েছিলেন যাদবপুর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। সেই সময়েই স্থানীয় এক ব্যবসায়ী তাঁর হাতে তুলে দেন একটি বড়সড় তরমুজ। হাতে নেওয়ার পর তরুণ সিপিএম প্রার্থী বলেন, ‘‘এই তরমুজটা ভাঙড়ের আসল ছবি। জোর করে যার উপরটাকে সবুজ করে রেখেছে তৃণমূল। কিন্তু ভিতরটা টকটকে লাল।’’ তবে সৃজন এ-ও বলেন, ‘‘নিতান্তই ভালবেসে ওই ব্যবসায়ী আমার হাতে এটা দিয়ে বলেন, দাদা, গরমের সময় আপনি বাড়ি গিয়ে এটা খাবেন।’’
আরও পড়ুন:
বাংলার রাজনৈতিক অভিধানে ‘তরমুজ’ অনেক কাল ধরেই বিশেষ অর্থবহনকারী শব্দ হয়ে রয়েছে। কংগ্রেসে থাকাকালীন সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে এক বার ‘তরমুজ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যাখ্যা ছিল, বাইরে সবুজ (কংগ্রেস), ভিতরে আসলে লাল (সিপিএম)। সেই প্রথম রাজ্য রাজনীতি শুনেছিল ফলের সঙ্গে রাজনীতিকের সাযুজ্য।
আরও পড়ুন:
মমতার অভিযোগ ছিল, সুব্রত-সহ কংগ্রেসের কিছু নেতা সিপিএমের সঙ্গে আপস করে চলছেন। সেই কারণেই তাঁরা সিপিএমকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চান না। তাঁরা উপরে কংগ্রেস হলেও আসলে ভিতরে ভিতরে সিপিএম। সবুজ-লালের সেই সহাবস্থান বোঝাতেই ‘তরমুজ’ শব্দ ব্যবহার করেছিলেন মমতা। যদিও পরে সুব্রত তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। মৃত্যুর সময় তিনি ছিলেন তৃণমূলের অন্যতম নেতা এবং রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি বিচারপতির চাকরি থেকে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তৃণমূলের আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আবার ‘খরমুজ’-এর তুলনা টেনেছিলেন। কল্যাণের বক্তব্য ছিল, ‘‘ও একটা খরমুজ! যার ভিতরটা লাল, উপরটা গেরুয়া।’’