Advertisement
Back to
Lok Sabha Election 2024

‘২০১১ নয়, এটা ২০২৪-এর সিপিএম’, বরাহনগরে পার্টি অফিসে আগুন নিয়ে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি তন্ময়ের

বরাহনগর উপনির্বাচনে সিপিএমের প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য সকালেই এসেছিলেন পুড়ে যাওয়া পার্টি অফিস ঘুরে দেখতে। সেখানেই পুলিশ-প্রশাসনকে দায়িত্ব পালনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

(উপরে) বরাহনগরে সিপিএমের পার্টি অফিস।  পুড়ে যাওয়া অংশ (নীচে)।

(উপরে) বরাহনগরে সিপিএমের পার্টি অফিস। পুড়ে যাওয়া অংশ (নীচে)। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১০:২২
Share: Save:

বরাহনগরে সিপিএমের পার্টি অফিসে আগুন। কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই আগুন লাগিয়েছে। যদিও আগুন লাগানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনায় তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছেন বরাহনগর উপনির্বাচনে সিপিএমের প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘তৃণমূলকে বুঝিয়ে দেব, এটা ২০১১-এর সিপিএম নয়, এটা ২০২৪-এর সিপিএম।’’

বরাহনগর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ন’পাড়ায় রয়েছে সিপিএমের একটি পার্টি অফিস। সোমবার গভীর রাতে সেই পার্টি অফিসেই আগুন লেগে যায়। আশপাশের লোকজনের সহায়তায় বাম কর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেললেও, কী ভাবে আগুন লাগল, তা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়েছে। সিপিএমের সরাসরি অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই কেরোসিন তেল ঢেলে পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, সোমবার গভীর রাতে বাড়ি ফিরছিলেন এলাকারই এক দম্পতি। তাঁরা দেখতে পান পার্টি অফিস থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। কাছে এসে বুঝতে পারেন আগুন লেগে গিয়েছে। তাঁরাই চিৎকার, চেঁচামেচি করে আশপাশের লোকজনকে জাগান। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় সিপিএম কর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। মঙ্গলবার সকালে পোড়া পার্টি অফিস পরিদর্শনে এসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তন্ময়। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের অনুগামীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ এসে জানায় সিসিটিভি অকেজো। তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বাধীন দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। আমরা আপাতত বলছি, পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করুক। যদি পুলিশ দায়িত্ব পালন না করে, আমরা দু’দিন দেখব, তিন দিন দেখব, চার দিন দেখব। তার পরে তৃণমূলকে বুঝিয়ে দেব, এটা ২০১১-এর সিপিএম নয়, এটা ২০২৪-এর সিপিএম, তৃণমূল যেন মনে রাখে।’’

এলাকারই এক বাম কর্মী রণজিৎ মিত্র বলেন, ‘‘রাত তিনটে নাগাদ খবর পাই। দৌড়ে এসে দেখি এই অবস্থা। প্রথমে আমরা জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তার পর প্রশাসনে খবর দেওয়া হয়। আগুন যদি নিয়ন্ত্রণে না আসত, তা হলে বিরাট বিপদ হতে পারত। কারণ, আমাদের পার্টি অফিসের গায়ে গায়ে কত বাড়ি। সেই বাড়িগুলিতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারত।’’

সিপিএমের পার্টি অফিসে আগুন লাগানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE