E-Paper

পাঁচ দফা ভোটের তথ্য প্রকাশ, বিবৃতি কমিশনের

ভোটের হিসাব নিয়ে মূল বিতর্কের সূত্রপাত প্রথম দফা ভোটের পরেই। প্রথম দফার ভোটের প্রায় ১১ দিন পরে চূড়ান্ত পরিসংখ্যান পেশ করে প্রায় ছয় শতাংশ ভোট বেড়েছে বলে দাবি করে কমিশন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৪ ০৭:১৮
ECI

জাতীয় নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।

ষষ্ঠ দফা ভোটের দিনেই, আগের পাঁচ দফা ভোটের সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে নিয়ে এল নির্বাচন কমিশন। তথ্য প্রকাশের পরে একটি বিবৃতিতে আজ নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতেই ভোট-তথ্য নিয়ে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হয়েছিল।

এ দিকে, আজ ষষ্ঠ দফায় ৫৮টি আসনে নির্বাচনের পরে দেশের ৪৮৬টি আসনে নির্বাচন শেষ হল। এরপরে রয়ে গেল কেবল ৫৭টি। সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট হবে ১ জুন।

ভোটের হিসাব নিয়ে মূল বিতর্কের সূত্রপাত প্রথম দফা ভোটের পরেই। প্রথম দফার ভোটের প্রায় ১১ দিন পরে চূড়ান্ত পরিসংখ্যান পেশ করে প্রায় ছয় শতাংশ ভোট বেড়েছে বলে দাবি করে কমিশন। কিন্তু প্রতিটি বুথে কত ভোট পড়েছিল, তা নিয়ে কমিশন কোনও তথ্য না দেওয়ায় কারচুপির আশঙ্কায় সরব হন বিরোধীরা। বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। তবে গতকাল ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট কমিশনকে কোনও নির্দেশ দেওয়া থেকে বিরত থাকে।

তার পরেই আজ হঠাৎ কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পাঁচ দফা ভোটের পরিসংখ্যান জনসমক্ষে আনে। কমিশনের পক্ষে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের রায় নির্বাচন কমিশনকে মজবুত করেছে। পাশাপাশি কমিশনও এও দাবি করেছে, ভোটের হিসাব দিতে কমিশন কখনই দেরি করেনি। কারণ, ‘ভোটার টার্ন আউট’ বলে কমিশনের যে অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে, তাতে সর্বদা ওই পরিসংখ্যান ছিল। ভোটের দিন সকাল সাড়ে ন’টা থেকে রাত পর্যন্ত প্রতি দু’ঘন্টা অন্তর ওই অ্যাপ্লিকেশনে সর্বশেষ তথ্য তোলা হয়েছে। কমিশন মেনে নিয়েছে, ভোটের তথ্য জানার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে প্রার্থী ও ভোটারদের। সে কারণে প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় কত সংখ্যক ব্যক্তি ভোট দিয়েছে, সেই তথ্য জনসমক্ষে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভোটের চূড়ান্ত পরিসংখ্যানে কারচুপি করার যে অভিযোগ বিরোধীরা করেছেন তা উড়িয়ে দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, কোনও ভাবেই তা করা সম্ভব নয়। আজ কমিশনের ওই তথ্য প্রকাশ সম্পর্কে বিরোধীদের বক্তব্য, সব শিবির থেকে চাপের মুখে পড়ে অবশেষে তথ্যপ্রকাশে বাধ্য হয়েছে কমিশন।

আজ ষষ্ঠ দফায় রাত দশটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৯.৭৭% শতাংশ। বড় রাজ্যগুলির মধ্যে সবথেকে কম ভোট পড়েছে বিহার ও উত্তরপ্রদেশে। দু’রাজ্যেই ৫৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। দুই রাজ্যেই অধিকাংশ আসনে জিতেছিল এনডিএ জোট। ফলে এ বারে ভোট কম পড়ায় আগের পর্বগুলির মতোই চিন্তিত বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও প্রকাশ্যে গেরুয়া শিবির দাবি করেছে, এ বারের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাজিক সংখ্যা ছাপিয়ে যাবে
এনডিএ জোট।

অন্য দিকে, কংগ্রেস তথা ইন্ডিয়া মঞ্চ সাড়ে তিনশো আসনের লক্ষ্যে দৃঢ় ভাবে এগোচ্ছে বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ইন্ডিয়া ম্যাজিক সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলেছিল আগেই। এ বার সাড়ে তিনশোর লক্ষ্যে এগোচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর উচিত, ভোটের ফল বেরনোর আগেই নিজের অবসরকালীন জীবন কী ভাবে কাটাবেন সেই পরিকল্পনা সেরে ফেলা।’’

কংগ্রেসের দাবি, মূলত পঞ্চম দফায় মহারাষ্ট্রে জোট-শরিকদের মধ্যে যে সুষ্ঠু রসায়ন কাজ করেছিল, তার প্রভাব পড়েছে ষষ্ঠ দফার ভোটে। বিশেষ করে বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলি পারস্পরিক স্বার্থ ত্যাগ করে পরস্পরের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Lok Sabha Election 2024 ECI

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy