—প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্ট বছরের গোড়া থেকেই পাঠাতে হচ্ছিল নির্বাচন কমিশনকে। এ বার ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই দৈনিক থানাভিত্তিক রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। প্রশাসনের খবর, আজ, রবিবার থেকেই মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের (সিইও) দফতর মারফত ওই রিপোর্ট পাঠাতে হবে। জেলা পুলিশের এসপি এবং সব পুলিশ কমিশনারকে এই নির্দেশের প্রতিলিপিও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোট ঘোষণা হতেই প্রতি থানা এলাকায় কী পরিস্থিতি হচ্ছে তার উপরে নিখুঁত ও নিরবচ্ছিন্ন নজরদারি রাখতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন পুলিশ-প্রশাসনের অনেকে।
প্রশাসনের খবর, শুধু সাধারণ আইনশৃঙ্খলা নয়, আরও বেশ কয়েকটি বিষয়ের উল্লেখও ওই রিপোর্টে থাকতে হবে। যেমন, জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, অস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে কি না, অতীতের ভোটে গোলমাল পাকানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ইত্যাদি। এর পাশাপাশি আগাম সর্তকতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এলাকার দাগি অপরাধীদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে তা-ও ওই রিপোর্টে জানাতে হবে। নিয়মিত নাকা তল্লাশির রিপোর্টও দিতে বলা হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি পালন হচ্ছে কি না এবং আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ উঠলে তারও খতিয়ান থানাগুলিকে নিজেদের রিপোর্টে জানাতে বলা হয়েছে।
রাজ্য পুলিশের এক পদস্থ কর্তার বক্তব্য, ভোট ঘোষণা হতেই সব রাজনৈতিক দল পুরোদমে প্রচারে নেমে পড়বে। তাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই পারে। সেই পরিস্থিতিতে কোনও গোলমাল হচ্ছে কি না এবং তাতে কী অভিযোগ দায়ের হয়েছে সেগুলির বিস্তারিত খতিয়ান রিপোর্ট আকারে থানাগুলিকে পাঠাতে হবে। এর পাশাপাশি ভোটারেরা সন্ত্রস্ত আছেন কি না এবং কোনও এলাকাকে ‘গোলমেলে এবং বিপজ্জনক’ বলে চিহ্নিত করার মতো পরিস্থিতি আছে কি না, তা-ও রিপোর্টে জানাতে হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ বার তফসিলি জাতি-জনজাতি আইনে অভিযোগ এবং মামলার খতিয়ানও জানাতে বলা হয়েছে থানাগুলিকে। সাম্প্রতিক সময়ে সন্দেশখালি-সহ একাধিক ঘটনায় তফসিলি জাতি এবং জনজাতিভুক্ত নাগরিকদের উপরে হামলা, নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তার প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy