E-Paper

ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক প্রচার নয়, নির্দেশ কমিশনের

কমিশন জানিয়েছে, চলতি লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একাধিক ধর্মীয় ও জাতিগত মন্তব্য শোনা গিয়েছে। যা কাম্য নয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৪ ০৮:৪৯
ECI

জাতীয় নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।

পাঁচ দফা ভোটের পরে নড়েচড়ে বসল নির্বাচন কমিশন। শেষ দু’দফা ভোটে যাতে কংগ্রেস ও বিজেপির তারকা প্রচারকেরা ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়, ভাষার ভিত্তিতে প্রচার না চালান, তার জন্য আজ দু’দলের জাতীয় সভাপতিকে সতর্ক করে দিল কমিশন। যদিও অন্তত সপ্তাহ দু’য়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলি যে অভিযোগ তুলেছিল, সেগুলি সম্পর্কে যথারীতি নীরব নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিজেপি ও কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি যথাক্রমে জেপি নড্ডা ও মল্লিকার্জুন খড়্গকে পাঠানো নির্দেশে বলা হয়েছে, বাকি দুই ভোটে তারকা প্রচারকেরা যাতে বাক্য ব্যবহারে সংযত থাকেন, তা নিশ্চিত করতে হবে দু’দলের দুই শীর্ষ নেতাকে। দুই দলের সভাপতিকে দলের তারকা প্রচারকদের উদ্দেশে নির্দেশ জারি করে বলতে হবে, যাতে তাঁরা বিরোধী রাজনৈতিক দলকে আক্রমণ শানানোর প্রশ্নে শিষ্টাচার মেনে চলেন।

কমিশন জানিয়েছে, চলতি লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একাধিক ধর্মীয় ও জাতিগত মন্তব্য শোনা গিয়েছে। যা কাম্য নয়। কমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, তারকা প্রচারকদের প্রচারের মানে পতনের কারণেই বিজেপি ও কংগ্রেসকে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের মতে, ভারতের আর্থ-সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিবেশ নির্বাচনের জন্য যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতেই ওই নির্দেশ। কমিশনের নির্দেশ, বিজেপি ও তার তারকা প্রচারকদের ধর্মীয়, সাম্প্রদায়িক প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে। তেমনই কংগ্রেসকে অগ্নিবীর বা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের মতো বিষয়কে প্রচারে তুলে আনা যাবে না। পাশাপাশি বিজেপি ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করলে সংবিধান ধ্বংস করে দিতে পারে বলে কংগ্রেস যে প্রচার চালাচ্ছে, তা থেকেও খড়্গের দলকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

কমিশনের ওই চিঠির সমালোচনা করে সরব হয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ স্পষ্ট করে দিয়েছে, কী ভাবে দায়িত্ব এড়িয়ে গিয়ে তারা শাসক দলকে বাড়তি সুবিধে করে দিচ্ছে। কারণ, বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা বিদায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে ধরনের কটু বাক্য বলেছেন তার সঙ্গে কংগ্রেসের নেতাদের তুলনাই হয় না। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারে যে ভাবে ধর্মকে ব্যবহার করছেন, তা স্পষ্টতই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ও আদর্শ আচরণবিধির লঙ্ঘন। অন্য দিকে কংগ্রেসের প্রচারের মূল সুরই হল দলিত ও জনজাতি ও ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণকে বাঁচানো। এটি কী ভাবে জাতিগত প্রচার হতে পারে?’’

সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরিও কার্যত একই সুরে প্রশ্ন তোলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতারা ধর্মের ভিত্তিতে প্রচার চালানোয় বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Lok Sabha Election 2024 ECI BJP Congress

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy